সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের সম্রাট : নবনীতা চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২২ ০১:১৪

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৫:০২

ছবিঃ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

 

ডাকসাইটে আইনজীবি তারাভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলেকে কলকাতায় পাঠালেন স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করতে। উদ্দেশ্য ছিল স্নাতক শিক্ষার পর পাটনার আইন কলেজ থেকে ডিগ্রী লাভ করে সন্তানকে তাঁর মতই দুঁদে উকিল বানাবেন। কিন্তু মানুষ একরকম ভাবে, বিধাতা অন্যরকম স্থির করেন। তরুণ পুত্রের অন্তরে তখন চলছে এক প্রবল দ্বিধা..দ্বন্ধ.. । ওকালতি না সাহিত্য... সাহিত্য না ওকালতি? কোনটাকে তিনি বেছে নেবেন? কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি তীব্র ঝোঁক তাঁর। বাবা বিখ্যাত আইনজীবি হলেও মুঙ্গেরের এই প্রবাসী বাঙালী পরিবারটির প্রত্যেকেই ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। বাড়ীতে রাশি রাশি আইনের বইয়ের সাথে আলমারী ভর্তি থাকতো বাংলা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধের বিশাল পুস্তক সম্ভার। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেছেন তরুণ পুত্রটি। এই অল্প বয়সেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কবিতা, কিছু গল্প বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায়। গল্প, কবিতার সাথে দ্বিধায় দ্বিধায় লিখে ফেলেছেন 'দাদার কীর্তি' নামে একটি উপন্যাস ও। যদিও সেটিকে টেবিলের ড্রয়ারে বন্দী রেখেছেন। কলকাতায় বন্ধু অজিত সেনের সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন অলিগলি, সাহিত্যের আখড়ায়। তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে তাঁর কাছে সাহিত্যই হবে তাঁর প্রধান কর্মভূমি বাবার আগ্রহে কলকাতা থেকে স্নাতক হয়ে পাটনায় এলেন আইন পড়তে। ইতিমধ্যে তাঁর বিবাহ সাঙ্গ হয়েছে। কাজেই সংসারের কথাটিও মাথায় রাখতে হয় তাঁকে। পাটনা থেকে আইন পাশ করে মুঙ্গেরে যোগদান করলেন বাবার জুনিয়র হিসাবে। একইসাথে চলতে লাগলো নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্যসাধনা। তাঁর রচিত গল্প সমসাময়িক বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা প্রবাসী, বসুমতী, ভারতবর্ষ প্রভৃতিতে প্রকাশিত হতে লাগলো। অবশেষে ১৯২৯ সালে তিনি ওকালতি থেকে নিজেকে মুক্ত করে পুরোপুরি সাহিত্যসাধনায় নিমগ্ন করলেন। ততদিনে বাড়ীর সবাই এমনকি ডাকসাইটে উকিল বাবাও বুঝে গেছেন সাহিত্যই তাঁর সঠিক জায়গা।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭০) যে সময় বাংলা সাহিত্য-চর্চায় পুরোপুরি নিমগ্ন হয়েছিলেন, সেইসময় বাংলা সাহিত্যের আকাশ দিকপাল নক্ষত্রদের আলোকচ্ছটায় পরিপূর্ণ। একদিকে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষন, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ মুজতবা আলি. কল্লোল যুগের লেখক গোষ্ঠী সবাই বিরাজমান। এই তারকোজ্জ্বল সাহিত্যিক পরিবেশে তিনি ম্লান হয়ে যান নি, বরং তাঁর অভিনব লেখনী দিয়ে বাংলা সাহিত্যের অনেক নূতন দিক উন্মোচন করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই উল্লেখ্যযোগ্য তাঁর রচিত গোয়েন্দা উপন্যাস। এর আগে বাংলা গোয়েন্দা উপন্যাস ছিল পাশ্চাত্য গোয়েন্দা উপন্যাসের অনুকরণে। পাঁচকড়ি দে ও দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জনপ্রিয় গোয়েন্দা কাহিনি গুলি মূলত: ইংরাজী ও ফরাসী গোয়েন্দা কাহিনি নির্ভর। নিজস্ব কোনো গোয়েন্দা তাঁরা রচনা করেন নি। বিদেশি সাহিত্যের অনুকরণে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীকে গোয়েন্দা বানিয়েছেন। ভালো মৌলিক গোয়েন্দা কাহিনীর একটা চোরা অভাব বাঙালী পাঠকদের মধ্যে সুপ্ত ছিলো। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এসে তাঁর শক্তিশালী কলমে মুছে দিলেন সেই অভাব বোধ। সৃষ্টি করলেন "ব্যোমকেশ" চরিত্রটি সর্বপ্রথম তাঁর 'সত্যান্বেষী'গল্পে। কলকাতার চীনাবাজার অঞ্চলে পরপর কয়েকটি মার্ডারের কিনারা করতে পুলিশ কমিশনারের অনুমতিতে গল্পে এই রহস্যের সমাধান করতে এগিয়ে আসেন বেসরকারী গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সী। ব্যোমকেশ যে মেসে থাকতেন সেই মেসের আরো এক বোর্ডার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় কালক্রমে হয়ে উঠেন ব্যোমকেশের সহকারী এবং তার বয়ানেই শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকাংশ গোয়েন্দা গল্পগুলি লিখেছিলেন। কেমন ছিল ব্যোমকেশের চেহারা? সত্যান্বেষী গল্পে অজিতের বয়ানে লেখক বলেছেন "তাহার বয়স বোধকরি তেইশ-চব্বিশ হইবে, দেখিলে শিক্ষিত ভদ্রলোক বলিয়া মনে হয়। গায়ের রং ফরসা, বেশ সুশ্রী সুগঠিত চেহারা, মুখে চোখে বুদ্ধির একটা ছাপ আছে।" এই গল্পের শেষে দেখা যায় ব্যোমকেশ পরবর্তীকালে হ্যারিসন রোডের একটি বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। তার সাথে থাকে ভৃত্য পুঁটিরাম। ব্যোমকেশের অনুরোধে অজিত ও এসে এই বাসায় থাকতে শুরু করে। এই বাড়ির দরজায় নেমপ্লেটে লেখা ছিল 'শ্রী ব্যোমকেশ বক্সী, সত্যান্বেষী'। গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভ নয়, ব্যোমকেশ নিজেকে সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দিতেন।
ব্যোমকেশ ও অজিতের জুটি নিয়ে শরদিন্দুর প্রথম গল্প ছিলো 'সত্যান্বেষী'। কিন্তু এর আগেই ব্যোমকেশের সর্বপ্রথম আবির্ভাব হয়েছিল লেখকের প্রথম ও দ্বিতীয় গোয়েন্দা গল্প 'পথের কাঁটা'এবং সীমান্তহীরা' কাহিনীতে। এরপর চরিত্রটি পাঠকমহলে সমাদৃত হওয়ায় ব্যোমকেশ সিরিজ রচনার জন্য শরদিন্দু ব্যোমকেশ অজিতের জুটি নিয়ে এলেন তাঁর লেখনীতে। তাঁর রচিত ব্যোমকেশ আমাদের মতই একজন সাধারণ সামাজিক সাংসারিক মানুষ, যাকে রুটি রোজগারের কথা চিন্তা করতে হয়, যার বয়স বাড়ে স্বাভাবিক ভাবে, পরিহাস, আবেগ, ভাবপ্রবণতা, বুদ্ধিমত্তার মিশেলে এক চেনা সহজবোধ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর গোয়েন্দা কাহিনীগুলির খুন, জখম, অপহরণ যাবতীয় অপরাধের মূলে রয়েছে সাংসারিক বা সামাজিক সমস্যা, যে সমস্যায় নিহিত রয়েছে এক গভীর সত্য। ব্যোমকেশ তাই গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভের পরিবর্তে নিজেকে সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দেয়। গোয়েন্দা কাহিনীগুলিকে নিছক রোমহর্ষক অপরাধের কাহিনী না করে শরদিন্দু তাঁর সাবলীল সৃজনশীলতায় মিশিয়েছেন প্রেম, ভালোবাসা, মনোমালিন্য, মানসিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া। এর সাথে তিনি নিঁখুত ভাবে সমসাময়িক পটভূমিকা এঁকেছেন। তাই তাঁর প্রতিটি গোয়েন্দা কাহিনী মামুলি রহস্য কাহিনি না হয়ে, হয়ে উঠেছে এক সৃজনশীল শৈল্পিক গোয়েন্দা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি তৈরী করেছেন এক নতুন ধারা, গোয়েন্দা সাহিত্য। সাহিত্যের এই নতুন ধারাটিকে আরো সমৃদ্ধ আরো জনপ্রিয় করে তুলেছেন তাঁর আকর্ষণীয় লেখার স্টাইলে। এক সাক্ষাৎকারে লেখক জানিয়েছিলেন "আমার গোয়েন্দা কাহিনী গুলি নিছক গোয়েন্দা কাহিনী নয়। প্রতিটি কাহিনী আপনি শুধু সামাজিক কাহিনী হিসাবেও পড়তে পারেন।..... একটি কথা, জীবনকে এড়িয়ে কোনদিন গোয়েন্দা গল্প লিখবার চেষ্টা করিনি।"
বিষয় বৈচিত্র‍্যেও প্রতিটি রহস্য উপন্যাস অন্যটির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কোথাও বিষাক্ত মাকড়শার রসে নেশাসক্ততা, কোথাও সজারুর কাঁটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে মার্ডার, কোথাও বিহারের প্রাচীন দূর্গে রহস্যময় মৃত্যুর পিছনে লুকানো ইতিহাস, কখনো চোরাবালির রহস্য ইত্যাদি নানান অভিনব বিষয়ের উপর সহজ আকর্ষণীয় ভাষায় রহস্যকে ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর করে পরিবেশনা, এবং যুক্তি, বুদ্ধি দিয়ে সেইসব রহস্যজালের জাদুকরী উন্মোচনে তাঁর গোয়েন্দা কাহিনীগুলি চুম্বকের মত আজো পাঠক সমাজকে টেনে রাখে। অস্ত্র, গুলিগোলার পরিবর্তে তিনি ব্যোমকেশের সুতীক্ষ্ণ মেধা ও উপস্থিত বুদ্ধির উপর আস্থা বেশি রেখেছেন। যদিও প্রয়োজনে কয়েকবার ব্যোমকেশকে অস্ত্রের ব্যবহার ও করতে হয়েছে। আবার অপরাধীর অপরাধের পিছনের সত্য আবিস্কার করার পর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যোমকেশের নিজস্ব মানবিকতা, দর্শন ও প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে পরিমিতিবোধ| লেখকের ভাষায় "স্টাইল দেখাইবার চেষ্টা করিবে না। মনের ভাবটিকে শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি দিবার চেষ্টা করিবে, তাহা হইলেই স্টাইল আসিয়া পড়িবে। অকারণে একটি শব্দ ও ব্যবহার করিবে না... |" তিনি বিশ্বাস করতেন গোয়েন্দা সাহিত্য সাহিত্যের একটি অন্যতম মূল শাখা। তাই শুধুমাত্র রহস্যের বর্ণনা ও উন্মোচন নয়, রচনাকারকে দক্ষ হাতে সাহিত্যের যাবতীয় রস মিশ্রিত করতে হবে মুন্সীয়ানার সাথে। "ব্যোমকেশের গল্পে যদি সাহিত্য রস না থাকিয়া শুধু থ্রিল ও সস্তা সেনসেশন থাকে, তবে সাহিত্যবিচারকগণ তাহাকে দ্বীপান্তরিত করুন, আপত্তি নাই। কিন্তু যদি তাহা থাকে, তবে শুধু ডিটেকটিভ বলিয়া তাহাকে শাস্তি দিবার অধিকার কাহারো নাই।"
ব্যোমকেশের উপর দশটি রহস্যকাহিনী রচনার পর তাঁর মনে হলো এইবার কিছুদিন রহস্যকাহিনীর উপর থেকে লেখনী তুলে নিয়ে তিনি অন্য ধরনের লেখায় মনোনিবেশ করবেন। অবশ্য আগে থেকেই রকমারি ছোট গল্প, ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা তিনি শুরু করে দিয়েছিলেন। সাংসারিক তাগিদে তিনি মুম্বাইয়ে হিমাংশু রায়ের আমন্ত্রনে বোম্বে টকিজে চিত্রনাট্যকার হিসাবে যোগদান করলেন। ১৪ বছর ধরে দক্ষতার সাথে লিখেছেন বহু হিট হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য। মুম্বাইয়ের মালাদে তাঁর বাড়িতে বহু দিকপাল ব্যক্তিরা যেমন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, শচীন দেববর্মন, জগন্ময় মিত্র, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ এসে আড্ডা জমাতেন। সেই আড্ডায় এক নতুন গানের খেলার সৃষ্টি হলো বর্তমানে যা অন্ত্যক্ষরী নামে জনপ্রিয়। বহু প্রচারিত এই খেলাটির সৃষ্টিকর্তা লেখক শরদিন্দু এবং খেলাটির নামকরণ ও তাঁর করা। তাঁর পুত্ররা কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৫২ সালে সিনেমার জগত ছেড়ে তিনি পুণায় নিজগৃহ নির্মাণ করে আবার পুরোপুরি সাহিত্যচর্চায় নিমগ্ন হলেন। বহুদিন পর চিত্রচোর রহস্যকাহিনীর মাধ্যমে সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ আবার ফিরে এলো পাঠকের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে। শরদিন্দু বিশ্বাস করতেন তাঁর রচিত ব্যোমকেশ এক জীবন্ত চরিত্র। তাই ইতিমধ্যে ব্যোমকেশের ও বয়স বেড়েছে। তার সাথে আলাপ হয়েছে সত্যবতীর। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। কেয়াতলায় তাদের নিজস্ব গৃহ। সেখানে অজিত ও থাকে। অজিত এখন বইয়ের ব্যবসা করে। যেভাবে একজন গৃহস্থ মানুষের জীবন এগিয়ে যায়, শরদিন্দু সেভাবেই ব্যোমকেশের জীবনে পরিবর্তন এনে চরিত্রটিকে আপাদমস্তক জীবন্ত করে তুলেছেন। এরপর ব্যোমকেশকে নিয়ে একের পর এক রহস্য উপন্যাস লিখেছেন তিনি যার প্রতিটিই হয়ে উঠেছে পাঠক সমাদৃত। তাঁর শেষ ব্যোমকেশ উপন্যাস ছিল 'বিশু পাল বধ' যা অসমাপ্ত রেখে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
রত্নাকর, কালিদাস. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, পাল বংশের রাজারা, অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান, তিব্বতীয় আচার্য বিনয়ধর প্রভৃতিদের নিয়ে রচিত তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলি বাঙালীর ইতিহাস বিস্মরণতা ভুলিয়ে দেয়। ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলিতে তিনি সেই প্রাচীন ভাষা কিছুটা পরিবর্তন করে অথচ সেই যুগের সাথে সংগতি রেখে এক আশ্চর্য শ্রুতিমধুর ভাষা ব্যবহার করেছেন। ইতিহাস ও রোমান্টিসিজম মিশ্রিত এই ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির নিরিখে তাঁকে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক ও নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। এছাড়াও লিখেছেন বেশ কিছু সামাজিক ছোট গল্প, ভূতের গল্প, ছোটদের জন্য লেখা গল্প। আপামর বাঙালীর কাছে জনপ্রিয় তাঁর সৃষ্ট চরিত্র 'ভল্লু সর্দার', ভূত বিশেষজ্ঞ বরদা।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের নভোমন্ডলে সেই আলো যা চারিদিক পরিব্যাপ্ত করে দেয় আলোকচ্ছটায়। আজো যে কোনো বইমেলায়, পুস্তক বিপণীতে বিপুল সংখ্যক বাঙালীর সর্বপ্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ব্যোমকেশ রচনাবলী। বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের যথার্থ জনক ও সম্রাট হিসাবে তিনি যুগোর্ত্তীন স্রষ্টা।

 

নবনীতা চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top