সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু এবং একজন দুলাল আংকেল : মো: ইয়াকুব আলী


প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২২ ০৪:০৩

আপডেট:
১৬ আগস্ট ২০২২ ০৪:০৭

 

মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তেমন কোনোই ধারণা ছিল না মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত। বরং উল্টো ধারণা পোষণ করতাম। এই উল্টো ধারণা অবশ্য আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে পাইনি। পেয়েছিলাম আমার আশেপাশের পরিবেশ থেকে। এমন ধারণা হবার প্রথম এবং প্রধান কারণ ছিল আমার মায়ের নাম।
আমার মায়ের নাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামের সাথে মিল থাকাটাই ছিল আমাদের জন্য কাল। আমাদের এলাকায় একটা ছড়া খুবই প্রচলিত ছিল। সেটা হচ্ছে:
"হাসিনা লো হাসিনা
তোর নাচায় আর নাচিনা
তোর বাপের নাচায় নেচেছিলাম
ঘর বাড়ি ছেড়েছিলাম।"


এমনকরে আরো অনেক কাজের বর্ণনা দিয়ে আমাদের দেখলেই ছড়াটাকে সুর করে বলে উঠতো আমাদের পাড়ার ছেলেমেয়েরা। তখনও জানতাম না শেখ মুজিবুর রহমান কে আর কেনইবা তার মেয়ের নাম হাসিনা। আর কেনই বা তাদের কারণে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছিল। কিন্ত উনাদের উপর ভয়ংকর রাগ হতো আমাদের দুভাইয়ের। কিন্তু উনাদেরকে হাতের কাছে না পাওয়ার রাগটা মিটাতাম যে ছড়া বলতো তাকে ইচ্ছেমত ধোলাই দিয়ে। তবুও পরেরবার দেখা হলে আবারো ছড়া বলে কেটে পড়তো।
শেখ মুজিবর রহমানের সাথে আমার শৈশবের স্মৃতি বলতে এটাই। এর বাইরে প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট আসলে ফকির পাড়ার মান্নান চাচা কাঙালি ভোজের আয়োজন করতেন নিহার বাবুর বাড়ির আঙিনায়। পাড়ার সব ছেলেমেয়ে দল বেঁধে সেখানে খেতে যাওয়া হত কিন্তু আমরা দুভাই যেতে চাইতাম না। মা অনেকবার বলতেন কিন্তু আমরা দুভাই মোটেও রাজি হতাম না। অবশেষে পাশের বাড়ির হানিফ দুলাভাই আমাদেরকে ধরে টেনে নিয়ে যেতো। সেখানে সারাক্ষণই মাইকে গান বাজতে থাকতো। শুনতে শুনতে বেশ কিছু গান আমাদের মুখস্থও হয়ে গিয়েছিল। গানের ফাঁকে ফাঁকে একজন লোকের বাজখাঁই গলা শোনা যেত "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।"
এরপর বন্ধু পাভেলের মাধ্যমে পরিচয় হলো একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে। তাঁর নাম সোহরাব গনি দুলাল। আমরা সবাই দুলাল আংকেল বলি। এই মানুষটা সম্মুখ সমরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এটা আমার জন্য অনেক বড় বিস্ময় ছিল। তবে উনার যে জিনিসটা আমাকে মুগ্ধ করে সেটা হল উনার ব্যবহার। একেবারে শিশুদের মত আচরণ উনার। আমাদেরকে নিজের পুত্রসম স্নেহ করেন। আমরা এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে উনার বাসাতে যেকোন সময় হাজির হয়ে আড্ডা দিতাম। চুলায় যা রান্না হচ্ছে সেটাই খেতাম একেবারে নিজের বাড়ির মত। আমি জীবনের অনেক সময় এই মানুষটার সংস্পর্শে কাটিয়েছি।
দুলাল আংকেলের সম্মন্ধে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য এখানে দিয়ে রাখি। নিজে দুবছর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সরকারী চাকুরী করার সুবাদে জানি যে বাংলাদেশের ঠিকাদার সম্প্রদায় কতটা ক্ষমতাশালী। আর তাদের ক্ষমতার উৎস হচ্ছে তাদের টাকা কিন্তু দুলাল আংকেল একজন ঠিকাদার হয়েও ছিলেন কপর্দক শুন্য। এই মানুষটার সাথে পরিচয় হয় আমাদের উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার পর। উনার সাথে প্রথম সাক্ষাতের কথা আমার এখনও মনেআছে। একটা পুরোনো আমলের আটপৌরে টেবিলে বসে রুটি আর পটল ভাজি দিয়ে নাস্তা করছেন। আমার সাথে পরিচয়ের পর বললেনঃ ইয়াকুব সংকোচ করো না বসে পড়। আমি টেবিলে উনার পাশে বসতে ইতস্ততবোধ করছি দেখে আমার হাত ধরে টেবিলে বসিয়ে দিলেন। তারপর নিজে হাতে রুটির মধ্যে একটা পটল ভাজি দিয়ে সেটাকে রোল বানিয়ে আমার হাতে তুলে দিলেন যেন যুগযুগ ধরে আমি উনাদের বাড়িতে আসি আর এভাবেই নাস্তা খাই।
এরপর উনি আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। বুয়েটে সবে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। হাতে টাকা পয়সাও তেমন নেই। তখন আমার ছোট ভাইটা জিলা স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পেয়ে গেলো। আমি ওকে জিলা স্কুলে ভর্তিও করে দিলাম কিন্তু মুশকিল হলো জিলা স্কুলে আসাযাওয়া করবে কিভাবে। আমার যে সাইকেলটা ছিল সেটা অনেক উঁচু তাই ওর পক্ষে চালানো সম্ভব না। একটা ছোট সাইকেল কিনে দিলে ওর চালাতে সুবিধা হয়। এই কথাটা দুলাল আংকেলের সাথে আলাপ করতেই উনি বললেন চল একদিন ডিসি সাহেবের কাছে যায়। উনার একটা তহবিল আছে গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য। আমি বললামঃ আংকেল আমি এর আগে রেজিস্ট্রেশনের সময় উনার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়েছি। উনি বললেন তাতে কি হয়েছে তুমিতো আর মিথ্যা বলে নিচ্ছ না। আমি বললাম তা ঠিক। তারপর একদিন দুলাল আংকেলের সাথে ডিসি আব্দুস সালাম সাহেবের অফিসে গেলাম। উনি সাহায্য দেয়ার সময় আমাকে ডেকে পাঠালেন। যেয়ে দেখি উনার সামনের চেয়ারেই দুলাল আংকেল বসে আছেন। আমার দিকে তাকিয়ে ডিসি সাহেব বললেনঃ তুমিতো জানো আমি একজনকে এক হাজারের বেশি অর্থ সাহায্য দেয় না কিন্তু উনার কারণে আমি তোমাকে দুহাজার টাকা অর্থ সাহায্য দিচ্ছি। আমিতো মহা খুশি। পরদিনই এক বন্ধুর সাথে যেয়ে বাজার থেকে একটা লাল রঙের হিরো সাইকেল কিনে আনলাম ছোট ভাইটার জন্য। সেই সাইকেলটা আমাদের সবারই খুব পছন্দের ছিল। আমিও পরবর্তিতে কুষ্টিয়া গেলে সেই সাইকেলটাতেই চড়তাম।
ঢাকায় চলে আসার পর দুলাল আংকেলের সাথে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল চিঠির মাধ্যমে। আমি যখনই কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলে আংকেলকে চিঠি লিখতাম। আংকেল আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে সুন্দর সুন্দর চিঠি লিখতেন। উনার নিজেরই তখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। ঋণের জালে জড়িয়ে নিজের বসতভিটা বিক্রি করে দিয়েছেন। থাকেন একটা ভাড়া বাড়িতে কিন্তু উনার আচরণে আমি কখনওই এমন কোন কিছু লক্ষ করি নাই যেটা দেখে মনেহতে পারে উনি কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। উনার ম,মুখে সবসময়ই একটা পবিত্র হাসি লেগেই থাকতো। তাই উনাকে দেখলেও আমি মনে অনেক জোর অনুভব করতাম। পরবর্তিতে উনার মেয়ে রূপার কাছ থেকে জেনেছি দুলাল আংকেল ছিলেন উনাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় সন্তান তাই অবধারিতভাবেই ভালো ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও পড়াশুনা বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি ছোট ভাইবোনদেরকে মানুষ করতে যেয়ে। তাই যখন আমার সাথে পরিচয় হয়েছিল তখন যেন উনি আমার মধ্যে উনাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই আমার বন্ধুদের মধ্যে আমাকে সবচেয়ে বেশি স্নেহ করতেন। অবশ্য আমি আন্টি এবংউনার মেয়ে রুপা এবং নিপার অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছি ভাই হিসেবে সে গল্প অন্যকোনদিন। আর উনার ছেলে অমিত ছিল যেন আমারই ছোট ভাই।
উনি একদিন আমাদেরকে ডেকে একটা ছবি দেখালেন। শেখ মুজিবর রহমানকে ঘিরে একদল মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। দুলাল আংকেল মুজিবর রহমানের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন। দুলাল আংকেল ছবির গল্পটা শোনালেন। যুদ্ধ শেষে দেখা করতে গিয়েছিলেন উনারা কুষ্টিয়ার বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা মিলে তখন তোলা ছবিটা। পরিচয় পর্বে যখন আংকেল উনার নাম বললেনঃ দুলাল তখন না কি শেখ মুজিবর রহমান উনার দিকে ফিরে তাকিয়ে বললেনঃ আলালের ঘরের দুলাল তাহলে আমার কোলে বসে পড়। তাই পরের ছবিতে দুলাল আংকেলকে কোলে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ছবি তুলেছিলেন।
শেখ মুজিবরের ছবি দেখে আমি সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আমার শৈশবের দিনগুলোর কথা বললাম। আমার গলার স্বরে স্বাভাবিকভাবেই উষ্মা প্রকাশ পাচ্ছিল কারণ এই মানুষটার জন্যই আমরা শৈশবে একটা বিভীষিকাময় সময় পার করেছি। তখন দুলাল আংকেল শান্তভাবে আমার কথাগুলো শুনলেন তারপর ধীরস্থীরভাবে আমাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং তাতে শেখ মুজিবর রহমানের কি ভূমিকা সেটা বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলেন। উনার বলার ভঙ্গিতে যে আত্মবিশ্বাস ছিল সেটার কারণেই হয়তোবা উনার কথাগুলো তৎক্ষণাৎ বিশ্বাস করলাম। আমার মনে তখন একটাই প্রশ্ন খেলা করছিল তাহলে কেন গ্রাম বাংলায় উনার ভূমিকার উল্টোটা প্রচার করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যত বই হাতের কাছে পেয়েছি সব পড়ে ফেলেছি এমনকি নিজের পাঠ্যপুস্তক পড়া বাদ দিয়ে হলেও। তখন থেকেই শেখ মুজিবর সম্মন্ধে জানার কৌতূহল তৈরি হয়েছিল মনে সেটা থাকবে আজীবন।
যখন শেখ মুজিবর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ পেল আমি মনেমনে খুবই খুশি হলাম। একদিন আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় পাঠক সমাবেশে যেয়ে বইটা খোঁজ করলাম। পেয়েও গেলাম এক কপি কিন্তু দাম দেখে দমে গেলাম এবং মন খারাপ করে ফিরে আসলাম। একটা বইয়ের পিছনে এতগুলো টাকা খরচ করা তখন আমার কাছে নিতান্তই বিলাসিতা ছিল। আমি বইটার দাম দেখে বিক্রেতাকে বললামঃ এই বইটার অন্ততপক্ষে একটা করে কপি বাংলাদেশের প্রত্যেক পরিবারে বিনামূল্যে দেয়া উচিত তাহলে সবাই সহজেই উনার জীবনী জানতে পারবে। আমার কথা শুনে বিক্রেতা আমার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আমি এইমাত্র মঙ্গল গ্রহ থেকে টুপ করে খসে পৃথিবীতে পড়েছি।
শেখ মুজিবর রহমানকে মেরে ফেলার পর যে ধরণের অপপ্রচার হয়েছিল যার শিকার হয়েছিলাম আমি শৈশবে সেটা থেকে বের হতে আমার প্রায় বিশ বছর সময় লেগে গেছে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেই অপপ্রচারগুলো বিশ্বাস করে সেটাকেই আঁকড়ে ধরে বড় হয়েছে এবং দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের অহেতুক সমালোচনা করে চলেছে। আমি সহজভাবে একটা জিনিস বুঝি আমরা বড় হয়ে যাবার পর আমাদের আব্বার অনেক কর্মকান্ডই আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল ঠিক একই ভাবে আমার ছোট ভাইয়েরা বড় হয়ে যাবার পর আমার দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু একটা জিনিস তো আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না সেটা হল আমাদের আব্বা আমাদের জন্মদাতা পিতা। দুলাল আংকেলের সাথে পরিচয় নাহলে আমিও হয়তো অন্য দশজন মফস্বলের ছেলের মতোই মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং শেখ মুজিবকে নিয়ে একটা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে বেড়ে উঠতাম। দুলাল আংকেলই আমার প্রথম শিক্ষক যিনি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার ভ্রান্তিগুলো দূর করে দিয়েছিলেন।
১৫ই আগস্ট কে সামনে রেখে ভাবছিলাম শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে কিছু একটা লিখবো। তাই অবধারিতভাবেই দুলাল আংকেলের নাম সেখানে চলে আসলো। আমি উনার মেয়ে রূপাকে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে শেখ মুজিবরের সাথে উনার ছবিগুলো পাঠাতে বললাম। তখন রূপা বললঃ আব্বা গত প্রায় দশদিন যাবৎ কাউকেই চিনতে পারছিলেন না এখন একটু ভালো আছেন। উনাকে নিয়েই দৌড়াদৌড়ির মধ্যে সময় কেটে যায় তাই আর তোকে ছবিগুলো পাঠানোর সময় পাচ্ছি না। অবশেষে রূপা সময় বের করে শেখ মুজিবর রহমানের সাথে দুলাল আংকেলের ছবি দুটো পাঠিয়েছে। আমি সেই ছবি যতবারই দেখি ততবারই চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যায়। একজন রাষ্ট্রপ্রধান ঠিক কতটা অমায়িক হলে একটা জেলার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন আন্তরকিভাবে ছবি তুলতে পারেন। আসলে উনিতো তো শুধু রাষ্ট্রপ্রধানই ছিলেন না ছিলেন গণমানুষের নেতা এবং উনি সেটা মনেপ্রাণে উপলব্ধিও করতেন আর অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশের মানুষকে যার খেসারত দিতে হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট।
আমার খারাপ লাগে আমাদের প্রজন্মও অনেক ভাগ্যবান যে আমরা দুলাল আংকেলদেরকে পেয়েছি যাদের কাছ থেকে আমরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পাঠ নিতে পেরেছি কিন্তু পরবর্তি প্রজন্ম উনাদেরকে পাবে না তাই ওরা এক ধরণের দ্বিধায় ভুগতে পারে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং শেখ মুজিবকে নিয়ে সেক্ষত্রে যারা সম্মুখসমরে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা লিপিবদ্ধ করা উচিৎ ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় এমন কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর অপচেষ্টা দেখে সত্যিই মুক্তযোদ্ধাদের জন্য খারাপ লাগে। কারণ উনারা এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে নিয়ে যুদ্ধ করেননি।

 

মো: ইয়াকুব আলী

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top