সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের গল্প-০৬; মৌরী : শাহান আরা জাকির পারুল


প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০৮

আপডেট:
৩ মে ২০২০ ২০:০৫

 

একজন মরিয়মের গল্প বলছি। বাবা মা আদর করে মৌরী বলে ডাকে। ষোড়শী। ছিমছাম গড়ন। লম্বা চুলের বিনুনী দু’পাশে বাঁধা। ডাগর কালো চোখ। 

এত রূপের কারণে গ্রামের স্কুলে প্রাইমারী শেষ করে, আর স্কুলে ঠিকমত যাতায়াত করতে পারে নাই। বখাটেদের কুদৃষ্টি পড়ে। বাবা নিরীহ। মসজিদের মুয়াজ্জীন। বড় ভাই কলেজে পড়ে। ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এস এস সি পাশ করে মৌরী। সাদা মাটা সংসার ভাইল চলছিল।

১৯৭১ সালে দেশের সব ওলট পালট হয়ে যায়। পাবনা জেলার শালগাড়ীয়ায় বাড়ী। মার্চ-এর শুরু থেকে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিফৌজের প্রচন্ড লড়াই শুরু হয়। লোকজন শহর থেকে-গ্রামের দিকে যে যার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যেতে থাকে।

মৌরীদের পরিবারও মার্চ এর শেষ দিকে রাতের অন্ধকার থাকতেই গ্রামের দিকে রওয়ানা হয়। আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফুটে ওঠে। রাস্তায় কোন যান-বাহন নেই। প্রায় তিন চার মাইল হাটার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পরে। সংগে একটা চটের ব্যাগে সামান্য মুড়ি-চিড়া ও এক গ্যালন পানি ছিল। একটা বট গাছের তলায় বসে সবাই ভাগাভাগি করে খাচ্ছিল। পাশেই পাকা রাস্তা। গ্রামের ছোট ছোট ঘর। সবই শুনশান। কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করে দৌড়াচ্ছিল। কাকের কা-কা ডাক।

মা গো, বাপজান, দাদা চল তাড়াতাড়ি। বিপদ হবি মনে অয়। মোরী একথা বলতে বলতেই স্থানীয় মকবুল চেয়ারম্যানের জীপ গাড়ী এসে থামলো। কই যাইবা মোবারক ভাই? আর কনে যাব বাই? গেরামে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। চল, ওঠ আমার গাড়ীতে। তুমাদের পৌঁছাইয়া দেব নে। না, না চেয়ারম্যান সাব, আমরা হাট্যাই যাব্যার পারবো নে।

আরে ওঠ তো। সরলসহজ মোবারক মিয়া বারবার আপত্তি করায়, মকবুল চেয়ারম্যানের চার পাঁচজন লোক জোড় করে মৌরীকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে গেল। সবাই চিৎকার করে লোকজন ডাকতে লাগলো। বাতাসে তা ইকো হয়ে মিলিয়ে গেল। মৌরীর জীবনের লালিত স্বপ্নের মৃত্যু ঘটলো।

পরবর্তীতে মৌরীর মুখ থেকে জানা যায়-তার উপর প্রথম যে পাশবিক নির্যাতন করে, সে একজন বাঙ্গালী মুসলমান। অর্থাৎ ঐ মকবুল চেয়ারম্যান “শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান”

যাকে মৌরী চাচা বলে ডাকতো। বাবার বয়সী। এরপর পাকসেনাদের হাতে তুলে দেয় মৌরীকে। এক অন্ধকার জগৎ।  কোথায় ওরা নিয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারলো না মৌরী। বিভৎস জীবন। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ। একটি ঘরে আরো দশ বারোজন মেয়ে। সবাই সুন্দরী। কেউ কলেজে পড়ে। কেউ স্কুলে।

মৌরীকে দেখে ওরা এগিয়ে আসে। চিৎকার করে ওঠে মৌরী। সবাই বিবস্ত্র, একারে উলঙ্গঁ। মৌরীর পরনের কাপড় খুলতে যায় একজন মেয়ে। হি, হি করে পাগলের মতো হাসতে থাকে। ভয়ে মৌরী দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। হৈ চৈ শুনে টইলদার তিনচারজন পিশাচ পাক আর্মী ধরে ফেলে মৌরীকে। নিয়ে যায় আর একটি ঘরে।

এখানে কেউ নেই। মৌরী একা। হ্যাচকা টানে পরনের কাপড় খুলে ফেলে পিশাচগুলি। পালাক্রমে ধর্ষন করে।  এভাবে কতদিন কাটালো, দিন নাকি রাত, কিছুর হিসেব ছিল না মৌরীর।

হঠাৎ একদিন প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মৌরী। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বিজয়ের আনন্দ।  স্বাধীনতার আনন্দ ধ্বনি চারদিকে।  মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সৈন্যরা এক সময় মৌরীকে উদ্ধার করে অবচেতন অবস্থায়। জ্ঞান ফিরলে দেখে, তারই আবাস্থল পাবনা জেলা সদর হাসাতালে। সে তখন অন্তঃসত্তা।  বাবা-মা, দাদা বেঁচে আছেন কিনা কিছুই জানে না। অচেনা সব মুখ।

প্রায় মাসখানেক পর তার মত আরও ভাগ্যহীন মেয়েদেরকে ঢাকা, ধানমন্ডি পূর্নবাসন কেন্দ্রে নিয়ে এল। সেখানে অনেক বড় বড় জ্ঞানী গুনী মানুষ তাদের দেখতে আসেন প্রতিদিন। মৌরী বুঝতে পারে না কিছু। সবাই এটা ওটা জিজ্ঞেস করে। মৌরী বিরক্ত হয়। মনে হয় সে সবার করুণার পাত্রী।

এ ওর মুখ থেকে নানা কথা শোনে মৌরী। একজন বিদেশী নার্স মৌরীকে খুব আদর করতেন।  একদিন খুব খুশী হয়ে মৌরীকে বললেন-তুমি মন খারাপ কোর না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন-তোমরা যারা মাতৃভূমির জন্য সতীত্ব, নারীত্ব হারিয়েছ, তাদেরকে “বীরাঙ্গঁনা” আখ্যায় ভূষিত করেছেন। তোমরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এত বড় সম্মান!মৌরী আনন্দে আত্নহারা হয়ে পড়লো। বাবা-মা, দাদাকে দেখার জন্য অস্থির। নার্স তরুলতার সহায়তায় কর্তৃপক্ষকে বাবার ঠিকানা দিল মৌরী।  রাতদিন পথের দিতে তাকিয়ে থাকে, এই বুঝি খবর পেয়েই সবাই ছুটে আসবেন।

কিন্তু না।  কেউ-ই আসে না।  সপ্তাহ খানেক পর খবর এল, মৌরীর বাবা বাড়ী ঘর মেরামত নিয়ে ব্যস্ত। আসবেন কয়েক-দিন পর। মৌরী কেঁদে আকুল হোল। নার্স তরুলতা তাকে কাজ শেখার জন্য উৎসাহিত করলেন। মৌরী সানন্দে রাজী হোল।

ইতিমধ্যে তার গর্ভপাত করানো হোল। সে কাজ শিখছে।  হঠাৎ একদিন মৌরীর বাবা ও ভাই এল।

মৌরী উচ্ছাসে দৌড়ে গেল বাবার কাছে। কান্নায় ভেঙ্গেঁ পড়লো, সালাম করলো বাবাকে। টুপী মাথায় দামী পাঞ্জাবী পাজামা পড়ে মৌরীকে তেমন কাছে টেনে নিল না। মাথায় হাত রাখলো।

মুখ তুলে মৌরী বাবাকে বললো-বাবা, আমি কি এখন তোমাদের সঙ্গে বাড়ী যাবো? লোকে যাকে হুজুর বলে সম্মান করেন, সেই বাবা আমতা আমতা করে বললেন জানিস-ই তো আমাদের কি বেহাল অবস্থা। সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। দুই তলা পাকা ঘর তুলছি। অনেক কাজের ঝামেলা।

মৌরী কিছু বলার আগেই তার ভাই, মিনহাজ বলে উঠলো-তুই তো ভালই আছিস মৌরী। আমিও ভাল একটা চাকুরী পেয়েছি। তোকে আমরা মাঝে মাঝে দেখে যাবো। মৌরীর রক্তপেশীগুলো শক্ত হয়ে ওঠে। একি সেই মিনহাজ? যাকে সে পরম শ্রদ্ধায় দাদা বলে ডাকে? দাদার দিকে এক নজর তাকিয়ে মৌরী চট করে জিজ্ঞেস করে, ক্ষতিপূরণটা কি আমার জন্যে-তোমরা পেয়েছো? আমার নারীত্বের মূল্য?

কিছু বলার আগেই ঘৃণায় মৌরী মুখ ঘরিয়ে বলে-তোমরা চলে যাও, বীরাঙ্গনা মেয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছো। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পেরেছি, এতেই আমি খুশী। ওরা চলে গেল। এরপর আর তারা আসেনি। একজন এসেছিল। ছেলে বেলার ভাললাগা মানুষটি। দাদার বন্ধু বেলাল। মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গণাকে দেখতে এসেছিল এক গোছা ফুল নিয়ে। আর কখনো আসেনি।

এরপর মৌরী একজন পোলিশ লেডী ডাক্তারের স্নেহ ছোঁয়ায় নার্সিং শেখার জন্য ডেনমার্ক যায়। ওখানেই পরিচয় হয় একজন সাংবাদিকের সাথে। টমাস নিকোলা। সে একটা বড় হাসপাতালে মৌরীর চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেন।

টমাস এর বাবা নেই। মা নার্স। মৌরীকে সন্তানের মত ভালবাসেন। একদিন শুভক্ষণে মৌরীর সঙ্গে টমাসের বিয়ে দেন, তার মা। মৌরীকে ওরা মেরী বলে ডাকে। টমাসের ভালবাসা, শাশুড়ীর মমতা মৌরীর সমস্ত অতীতকে যেন মুছে দিল। পাল্টে গেল জীবন।

দু’বছর পর টমাস একটা সেমিনারে আমন্ত্রণ পেলেন দিল্লীতে। মৌরীকে সাথে নিয়ে এলেন। কাজ শেষে, মৌরীকে টমাস বললো, বাংলাদেশে যাবে কিনা?

আনন্দে নেচে উঠলো মৌরী। এখন দেখলে তো কেউ চিনতে পারবে না। মৌরী এখন ষ্কার্ট জিন্স পরা মিসেস মেরী টমাস। সমস্ত ইন্দ্রিয় যেন দেশের আকাশ বাতাসের ছোঁয়া পাবার জন্য নাড়া দিল। হঠাৎ অতীতের কথা মনে পড়তেই মৌরীর চোঁয়াল শক্ত হয়ে উঠলো। ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠলো, দেশ স্বাধীন হয়েছে।

কেউ বীর উত্তম, বীরশ্রেষ্ঠ, মন্ত্রী, কেউ রাষ্ট্রদূত। সবার কত সম্মান। টুপী মাথায় ছিপছিপে সরল সহজ বাবা আজ ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। দাদা ভাল চাকুরী করে। আর আমি? আমি তো তেমন কিছু চাইনি!

চেয়েছিলাম শুধু একটু নারীত্বের মর্যাদা, আর প্রিয় জন্মভূমির বুকে আশ্রয়। আজ স্বদেশে আমার কোন পরিচয় নেই। আমি কোথায়? ওদের কাছে আমি ঘৃণ্য, মৃত। আমি আজ ডেনমার্কের নাগরিক। আমাকে তো কেউ বাঙ্গাঁলী বলবে না।

কই, কি হোল তৈরী হও।

টমাসের ডাকে চমকে ওঠে মৌরী। ইতস্তত করে বলে তোমাকে একটা অনুরোধ করবো।.... রাখবে? কোন কথাটি তোমার রাখিনি বলো? বাংলাদেশে, পাবনা সদর হাসাতালে নিয়ে যাবে আমাকে? ওখানে কেন? তোমাদের বাড়ীতে যাবে? ঠিক আছে চল, আগে যাওয়া যাক।

দিল্লী থেকে বিমানে ঢাকা এল মৌরী।  ঢাকা থেকে মৌরী রওয়ানা হোল পাবনা সদর হাসপাতালে। এ যেন জীবনের অগ্নীপরীক্ষা। রাস্তাঘাটের অনেক উন্নতি হয়েছে। অবশেষে এল সেই সদর হাসপাতাল। বিদেশী নার্স হিসেবে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সরা প্রচুর সম্মান করলো। একটি রূমে গিয়ে বেডগুলি নেড়ে চেড়ে দেখলো মৌরী। মনে পড়লো অতীতের স্মৃতি। ওখানেই এক পিওনের মাধ্যমে মৌরী তার বাড়ীতে খরব পাঠায়।

প্রথমে ভেবেছিল মৌরী, পিওনটি তার বাবাকে চিনবে কিনা! কিন্তু তার নাম বলতেই পিয়ন লাফিয়ে উঠলো-কন কি ম্যাডাম, মোবারক সাহেবকে কিডা না চেনে। এই শহরের ব্যাবাক মানুষ চেনে। অনেক বড় ব্যবসায়ী। হুনছি এবার ভোটে নাকি তার পুলা মন্ত্রী অইবো।

কি! দাদা হবে মন্ত্রী? তার নারীত্বের এত মূল্য? পিওনকে বলে দিল শুধু মোবারক সাহেবের বিবি সাহেবাকে আসতে।  বিকেল বেলা মৌরীর মা সত্যি সত্যিই এল। পরনে দামী শাড়ী। হাতে ব্যাগ-সবই দামী। চেনাই যায় না.... মাকে।

মা কিন্তু, স্কার্ট-জিন্স পড়া মৌরীকে ঠিকই চিনে ফেললো। মারে, কোথায় ছিলি এ্যাদ্দিন? বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করলো অনেকক্ষণ মৌরীর চোখে কোন জল এল না।  মনে মনে ভাবলো আজ তোমার লেবাসও বদলে গেছে মা। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা। হাতের ময়লা রূপোর চুড়ির জায়গায় সোনার ব্রেসলেট।

সবই তোমার মৌরীর সতীত্ব বির্সজনের। আচ্ছা মা, তোমাদের সেই মকবুল চেয়ারম্যানের খবর কি? ও তো নেই। মুক্তিযোদ্ধারা মেরে ফ্যালছে। তবে ওর ছেলে নাকি এবার মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রী হবে শুনছি। দাদাও নাকি মন্ত্রী হবে? হ’মা। দোয়া করিস। চল বাড়ীতে যাবি না?

তোর রুমটা আলাদা করে সাজিয়েছি। তুই না থাকলে কি হবে মা। আইজ তোর জন্যেই তো... গলার স্বর রূদ্ধ হয়ে গেল মৌরীর মা’র। ওসব কথা থাক মা। আমরা আজই চলে যাব।

কি বলিস, ঘর বাড়ী দেখে যাবি না? মৌরীর মেজাজ আবার বিগড়ে গেল। কোন মতে সামলিয়ে নিল নিজেকে। সময় স্বপ্নের মতো কেটে গেল। গাড়ীর পাশে দাঁড়িয়েছিল টমাস।  চলি মা। টমাস বাঙ্গাঁলী নিয়মে সালাম করলো শাশুড়ীকে।

জামাই বুঝি? মৌরীর কানে কানে জিজ্ঞেস করলো-তোর সব কথা জামাই জানে? মৌরীর মনটা বিষিয়ে উঠলো। দাঁত খিচেয়ে বললো- শুধু জামাই ক্যান? ও দেশের সবাই জানে মা। ওরাতো তোমাদের মত লোভী না।  মানুষকে সম্মান দিতে জানে।  ওরা অনেক উদার মা।  বিদায়ের সময় মৌরীকে জড়িয়ে ধরে হাতে কি যেন গুজে দিলেন মা। নাতী-নাতনেিক দিস্। মুঠি-খুলতে দিলেন না।

বাঁক ফিরতেই হারিয়ে গেলেন মা, শৈশবের স্মৃতি জড়ানো জন্মস্থান।

ফিরবার পথে মুঠি খুলে দ্যাখে, মা তার হাতের ব্রেসলেট ও গলার চেন খুলে দিয়েছেন, নাতি-নাতনীতর জন্য। মনে মনে হাসলো মৌরী। তোমার বুঝি খুব মন খারাপ লাগছে মেরী? টমাস চুপচাপ দেখে মৌরীকে বললো-এরপর সত্যি সত্যিই, নাতি-নাতনীকে নিয়ে সময় করে আবার আসব আমরা, কেমন?

কখখোনা না। গোখরো সাপের মত ফুঁসে উঠলো মৌরী।  দেখ টমাস। তোমাকে বলবার সুযোগ হয়নি। আজ তোমাকে বলে রাখলাম-আমার মৃত্যুর পরও যেন কেউ আমাকে বাংলাদেশে নেবার চেষ্টা কোর না।

জন্মেছিলাম সোনার বাংলায়-লালিত হচ্ছি ডেনমার্কের কঠিন ভূমিতে। সেই মাটিতেই হবে আমার শেষ শয্যা।  ওকে। তাই হবে ডিয়ার। টমাস মৌরীর এলোমেলো চুল গুলোকে মুখ থেকে সরিয়ে দেয়।

 

শাহান আরা জাকির পারুল
নাট্যকারলেখক  গবেষক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top