সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

অনুগল্প; লেখার টেবিল : নূর হাসনা লতিফ


প্রকাশিত:
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৩৯

আপডেট:
৩ মে ২০২০ ২০:৫৬

       

অনেক বছর পর ঘরটায় আলো জ্বালানো হোল। সুজন পরিষ্কার করালে ঘরটা। থরে থরে সাজানো বইগুলো ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার  হোল।দশ বছর   এঘরে কেউ আসেনি। টেবিল ল্যম্প জ্বালিয়ে চেয়ারে বসলো সুজন। দাদা ভাইএর একটা ডায়েরি খুলে চোখ বুলায়। দশ বছর আগে সুজন দাদা ভাইএর সঙ্গেই থাকতো। বইগুল সে নিজেই মুছে রাখতো।সুজন বলত দাদা ভাই আপনার এইবইগুলো

পড়তে আমার ভাল লাগে,আমিও   বড় হলে আপনার মত রাইটার হব। দাদাভাই হাসতেন,রাইটার হও য়ার দরকার নেই দাদাভাই।তুমি ডাক্তার হবে ইঞ্জিনিয়ারহবে। সে আমি যাই হই।পাশাপা শি লেখকও  হবো।তার পর সুজন বলতো আচ্ছা দাদাভাই লেখক হতে আপত্তি  কেন? লেখক হওয়া অনেক কষ্ট সুজন।তারপরেও আমি লেখক হব।

পড়াশুনার জন্য বাইরে চলে গেল  সে । কেটে গেল অনেকগুলো বছর এর মধ্যে দাদাভাই মারা গেছেন।একদিন ফিরে এল সুজন।দেশেই থাকবে সে। বাবা মা বলেছিলেন  ঢাকায় থাকতে।কিন্তু সে ফিরে এসেছে মায়ের কাছে। বাবার শরীর তেমন ভালনা। সুজন  কলেজে যোগ দিল। জমিজমা যা আছে চলে যাবে ।মনে মনে মা বলেন  কাছেই থাক ছেলেটা।

অনেক রাতে মা দেখলন সুজন দাদার টেবিলেই বসে লিখছে।ঘুমাতে যা বাবা অনেক রাত হয়েছে। এইগল্পটা শেষকরে নেই। মা অবাক হয়ে বলেন,তুই লিখিস?হ্যাঁ মা আমিও দাদার মত লিখি।আমার অনেক বই।মায়ের মনে হয় তার শ্বশুর   যেন টেবিলে বসে লিখছেন।্মনটা ভরে গেলো আনন্দে…।।

 

নূর হাসনা লতিফ
লেখক ও সংগঠক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top