সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


উ. মেসিডোনিয়ায় ট্রাক থেকে আরও ১৪৪ বাংলাদেশি উদ্ধার


প্রকাশিত:
১৭ জুলাই ২০২০ ২১:০২

আপডেট:
১৭ জুলাই ২০২০ ২১:০৭

 

প্রভাত ফেরী: উ. মেসিডোনিয়ায় আরও ১৪৪ বাংলাদেশি উদ্ধারইতিপূর্বে ৬৪ জন উদ্ধারের দু’ সপ্তাহের মাথায় আরও ১৪৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র কর্তৃপক্ষ। গ্রীসের সঙ্গে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার এই দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে একটি ট্রাক থেকে এসব বাংলাদেশিসহ ২১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ জনই কম বয়সী। কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিয়মিত টহলে একটি ট্রাক থেকে ওই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪৪ জন বাংলাদেশি এবং ৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক। মঙ্গলবার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গেভজেলিজা শহরের কাছে সোমবার রাতে একটি ট্রাককে থামায় সীমান্তে টহলরত নিরাপত্তাবাহিনী।

এরপরেই ওই ট্রাকের ভেতর থেকে ২ শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মেসিডোনিয়ার নাগরিক, বয়স ২৭ বছর। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ট্রাক থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।  এর আগে গত ২৩ জুন উত্তর মেসিডোনিয়ায় গ্রীস সীমান্তবর্তী একটি হাইওয়ে থেকে ৬৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।

যুগোস্লাভিয়ার ভেতর দিয়ে তথাকথিত ‘বলকান অভিবাসন রুট’ ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ। আর চলতি বছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছে গ্রীস-উত্তর মেসিডোনিয়া সীমান্তও।  তবে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাগজে-কলমে সীমান্ত বন্ধ হলেও এ রুটে মানবপাচার এখনও চলছে। মানবপাচারকারী চক্রগুলো ওই এলাকায় এখনও সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্র অভিবাসীদের অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে এরপর উত্তরের দিক থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে সহায়তা করে আসছে।

প্রতি বছরই যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্র দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে গ্রীস হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায় হাজার হাজার অভিবাসী ও শরণার্থী। এদিকে, মঙ্গলবার ২৫ জন অভিবাসীকে অন্যত্র স্থানান্তর করেছে গ্রীস। ইউরোপীয় দেশগুলোতে স্থানান্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি জনবহুল শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তাদের পর্তুগালে পাঠানো হয়েছে। ওই ২৫ জনের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর। ইউরোপে তাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকে না। তবুও তারা বিপজ্জনকভাবেই ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল। এদিকে ২৫ শিশুর আরও একটি অভিবাসী দলকে বুধবার এথেন্স থেকে ফিনল্যান্ডে পাঠানোর কথা রয়েছে।

বর্তমানে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ শরণার্থী শিশু গ্রীসে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে অনেকেই বেশ খারাপ অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top