সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জোহানেসবার্গে প্রবাসীদের এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ


প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২১ ১৮:৪৫

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৩

 

প্রভাত ফেরী: ২৭ মার্চ (শনিবার) জোহানেসবার্গের সুয়োটো এলাকার তিনটি এতিমখানায় শতাধিক মাদরাসাছাত্রদের মাঝে প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিতে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কয়েকটি এতিমখানায় এ খাদ্য বিতরণ করা হয়।
বক্তারা বলেন, শোষণ–বঞ্চনার পথ পেরিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা নিয়ে শুরু করেছিল যাত্রা; সেই বাংলাদেশ উন্নতির গতিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে পূর্ণ করল ৫০ বছর।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লে মুক্তি মেলেনি বাংলার মানুষের। জীবন ছিল পাকিস্তানি শেকলে বাঁধা। সেই শেকল ভাঙার মন্ত্র দিয়ে বাঙালিকে জাগিয়ে তোলেন শেখ মুজিব। বাংলার মানুষ যাকে ভালোবেসে নাম দেয় বঙ্গবন্ধু।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণীর পর ২৫ মার্চ ঢাকায় যে বিভীষিকা নামিয়ে এনেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী; তা একটি প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখোমুখি করে দেয় বাঙালিদের।
২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বেতারবার্তায় যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, সেই মুহূর্তে ঘোর অন্ধকার, হানাদারের গুলি আর বেয়নেটে ক্ষতবিক্ষত দেশ। চলে নয় মাসের তীব্র লড়াই। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে সেই স্বাধীনতা।
তারপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে ফেরার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা আসে স্বাধীনতার; পরম শ্রদ্ধায় তাকে জাতির পিতা হিসেবে বরণ করে নেয় নতুন দেশ।
স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ষড়যন্ত্রের জালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর বাংলাদেশের উল্টোযাত্রা শুরু হলেও কয়েক দশক বাদে ক্ষমতায় ফিরে বাংলাদেশকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠা, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা সূচকে অগ্রগতির পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছানো।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top