সমুদ্ররেখা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশের চিঠি


প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৯

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০০:০০

 

প্রভাত ফেরী: সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়লাভ করার পর আদালত সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। তবুও সমুদ্রসীমা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। শুধু তাই নয়, দেশটি বঙ্গোপসাগরে যে উপকূলীয় ভিত্তিরেখা বা বেসলাইন ব্যবহার করেছে, এর একটি অংশ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ভেতরে পড়েছে।

১৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে উক্ত বিষয়ে আপত্তি তুলে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে, ১৯৭৬ সালে ভারত সরকার সমুদ্রবিষয়ক টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন আইন প্রণয়ন করে। এই আইন প্রণয়নের ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে ভারত ভিত্তিরেখা নির্ধারণের জন্য সেই আইনে সংশোধনী আনে। ২০০৯ সালের সংশোধনীতে ভারত ‘স্ট্রেট লাইন বেসলাইন’ পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেটা জাতিসংঘের সমুদ্র আইনবিষয়ক কনভেনশনের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

এর আগে বাংলাদেশের দাবি করা মহীসোপান নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেয় ভারত। দেশটি দাবি করে, সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশ যেই মহীসোপান নিজেদের বলে দাবি করছে তা ভারতের অংশ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে আপত্তি তুলে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সেখানে বলা হয়, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় দিয়েছে, তা অনুসরণ করেই মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। ফলে সেই রায়ের পর দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে আর কোনো বিরোধ থাকতে পারে না।

২০১১ সালে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে জাতিসংঘের মহীসোপান নির্ধারণ বিষয়ক কমিশনে আবেদন করে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে জয়লাভ করে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top