সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে দাম তেমন বাড়েনি : বাণিজ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২২ ০৪:৪৪

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৫

দুঃসময় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষকে সহ্য করার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেড়েছে তা নয়, তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। সেকারণে কষ্ট হচ্ছে মানুষের। তেলের কমানো দামের প্রভাব বাজারে না পরার বিষয়টি ভোক্তা অধিকার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি আগামী বছরে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেন খাদ্যের কোনো সঙ্কট না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য মন্ত্রী।

শুক্রবার সকালে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে সেখানে তাকে শ্লোগানের সাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষে শুভেচ্ছা জানান ডিসি আসিব আহসান। সেখানেই গার্ড অব অনার দেয় পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম সেভাবে বাড়েনি। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম তো গ্লোবালি বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে যার প্রভাব টাকায় পড়েছে। তবে আমরা যদি বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আনি, তাহলে আমাদের জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেশি তা নয়, তবে স্বাভাবিকভাবে যেটা থাকার কথা ছিল সেটা থেকে বেড়েছে। কারণ বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার সাজেশনটা হচ্ছে যে, এটা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা সহ্য করতে হবে। আশা করি দুঃসময় কেটে যাবে আমাদের।

আসন্ন বিশ্বমন্দা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত আমাদের খাদ্য সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। যেমন কৃষি মন্ত্রণালয়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমরা এক ইঞ্চি জমিও কোথাও অনাবাদি না রাখি। যাতে করে খাদ্য সমস্যা না হয়। এছাড়াও সরকার যেখানে খরচ কমানো দরকার, যা পিছিয়ে দেয়া দরকার তা করছে। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রস্তুত আছেন। আমরা যেহেতু বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। সেকারণে আমাদের সমস্যা হতেই পারে। সেটা সবাই মিলে ফেইস করতে হবে। আমরা মনে করি আমাদের বিপদটা এ্যাড্রেস করতে পারব।

সয়াবিন তেলের দাম কমানো হলেও বাজারে প্রভাব না থাকার ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসে মাসে মাসে আমরা তেলের দাম রিভিউ করি। সেই হিসেবে ট্যারিফ কমিশন আমাদের দর ফিক্সআপ করে দেয়। সেই বিবেচনায় তেলের দাম কমানো হয়েছে। এখন সেটা যদি বাজারে না কমে থাকে, সেটা আমরা দেখব। আমাদের ভোক্তা অধিকার আছে তারা দেখবে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে। তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাজারে নতুন দাম ঠিক করে দিয়েছি। এখন আপনাদেরও (মিডিয়ারও) প্রচার করা দরকার যে দাম কমেছে। আমরাও বিভিন্ন হ্যান্ডস দিয়ে এটা ঠিক করব। কাজ চলছে এবং ভোক্তা অধিকার বাজারে নেমেছে। এটা নিয়ে তারাও কাজ করছে।

দুইদিনের রংপুর সফরে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর ছাড়াও তার নির্বাচনী আসন কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করবেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top