সরকারে আসতে চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩৯
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:১১

অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার হচ্ছে, আতঙ্কের নাম। যারা অনির্বাচিত সরকারের কথা বলছে, তারা দেশ ও জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে চায়।
‘অনির্বাচিত সরকার জনগণ মেনে নেবে না। অনির্বাচিত সরকার ফিরে আসবে না। অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। যারা অনির্বাচিত সরকার চান, তারা এই দুঃস্বপ্ন বাদ দিয়ে সরকারে আসতে চাইলে নির্বাচনে আসুন। এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন।’
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আরও বলেন, অনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে যাদের ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা, তাদের বলব, রাজনীতি করেন, জনগণের কাছে যান। জনগণের ভোট নেন, ক্ষমতায় আসেন। কোনো আপত্তি নেই। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বাস্তবতা।
আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেটা তো আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি। রংপুরের মেয়র নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে, আমরা মেনে নিয়েছি। এখানে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা ছয়জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। এই উপনির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদ নেতা বলেন, উপনির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামীতেও কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার বা সমালোচনার সুযোগ পাবে না। আমরা আজ ক্ষমতায় আছি। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছয়টি উপনির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়টি উপনির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। তাই এখানে নাকি অনির্বাচিত সরকার আনতে হবে। আমার প্রশ্ন, এই যে ছয়টি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, এই নির্বাচন সম্পর্কে কেউ তো একটি কথাও বলতে পারেনি।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও কি এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পেরেছে? তুলতে পারেনি। তবে কিছু লোক আছে, তাদের সবসময় উলটো কথা বলতেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন যে স্বচ্ছ হয়েছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে, এটা কি প্রমাণ করে না যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সক্ষমতা রাখে? সরকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, করেও না, করবেও না।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই তো আমাদের আন্দোলন। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্যই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সেই সংগ্রামের সাফল্য বয়ে এনে আজকে ভাতের অধিকার যেমন আমরা নিশ্চিত করেছি, তেমনি ভোটের অধিকারও আমরা নিশ্চিত করেছি। এটাই বাস্তব। যদিও দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই বাস্তবতাকে কেউ কেউ অস্বীকার করতে চায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: