ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:১৯
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৯

সরকার প্রধান বলেন, দেশের বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়নে এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন, সবই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও ঢাকায় ইতোমধ্যে মেট্রোরেল চালু, কম্যুটার রেলওয়ে, ভূগর্ভস্থ টানেল, ঢাকা শহরের চারিদিকে রিং রোড এবং ওয়াটারওয়ে নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা গত নভেম্বরে একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন এবং ডিসেম্বরে একদিনে শত সড়ক/মহাসড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে।
এছাড়া, ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার, তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওয়ার, বনানী ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, চট্টগামে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বদ্দারহাট ফ্লাইওভার, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা, ঢাকা-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা, ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ সরকার সম্পন্ন করেছে বলেও উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। এয়ারপোর্ট থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে এ বছরই যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক, আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। যমুনা নদীর উপর রেলসেতু নির্মাণ কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর ওপর যখন সেতু করতে যাই। তখন রেল সেতুও সংযুক্ত করতে চাই। বিশ্বব্যাংক বাধা দিয়েছিল। তারা বলেছে, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেল সেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে। দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।
উর্দুভাষীদের জন্য উন্নতমানের ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনাও তাঁর সরকারের রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ^াস করে। অনেক সংগ্রামের পথ বেয়েই জনগণের ভোটের অধিকার আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়েছি, ২০১৪ এবং ২০১৮ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি।
দেশের মানুষ ভোট সম্পর্কে অনেক সচেতন এবং তাদের ভোট চুরি হলে তারা মেনে নেয়না উল্লেখ করে ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং মাত্র দেড় মাসের মাথায় আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া সরকারের পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ভোটচোরকে জনগণ কখনো গ্রহণ করেনা। এ প্রসঙ্গে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ারও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অনেক কথা বলে। ২০০৮ এর নির্বাচনে তারা মাত্র ২৯ টা আসন পেয়েছিল , আর একটা পেয়েছিল উপ নির্বাচনে। অর্থাৎ ৩০০ সেটির মধ্যে মাত্র ৩০ টা সিট পেয়েছিল। আমরা দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করে তাদের ভোটেই বারবার সরকারে এসেছি।’ এ ব্যাপারে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। কারো মুখাপেক্ষী হবেনা। আমরা নিজের খেতে ফসল ফলাবো এবং দেশকে উন্নত করবো। জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকেনা। তাই কারো কাছে হাত পেতে চলবোনা। আমরা সম্মানের সংগে বিশে^ মাথা উঁচু করে চলতে চাই।
তিনি বলেন, নৌকা মার্কা স্বাধীনতা এনেছে, নৌকা মার্কাই যত উন্নয়ন দিয়েছে, সামনেও যত উজান ঠেলে হোক, নৌকা মার্কা এগিয়ে যাবে।
তিনি করোনা পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ^ মন্দার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগোনোর মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাঁর আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: