সিডনী বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০শে মাঘ ১৪৩১


৭১–এর ছবি ভাষা আন্দোলনের পোস্টারে, অপসারন করল বাংলা একাডেমি


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১০

আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪১

ফাইল ছবি

সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে প্রদর্শিত পোস্টারটি। বইমেলা কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি বলছে, এটি তারা তৈরি করেনি। পোস্টারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নাম লেখা আছে। সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বইমেলার বাইরে রাস্তায় মেলার সজ্জা উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কিছু পোস্টার দেখা যায়। ‘৫২–এর চেতনা ২৪–এর প্রেরণা’ স্লোগান লেখা একটি পোস্টারে থাকা ছবি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা তৈরি হয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে উপস্থাপন করতে এখানে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তোলা ছবি।

আলোকচিত্রী সাহাদাত পারভেজ পোস্টারের ছবি এবং পোস্টারে থাকা আসল ছবিটি দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটা কী করলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়! ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন ছবিকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ছবি বলে চালিয়ে দিল। আমি মূল ছবিটা সংযুক্ত করলাম। ছবিতে মাঝখানের মেয়েটি লীনু হক। তিনি তখন অগ্রণী স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। লাঠিতে ঢেকে গেছে যার মুখ তিনি জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার। তখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। একেবারে বাম পাশের মেয়েটি মুক্তিযোদ্ধা ফোরকান বেগম। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্ব ও সভাপতিত্বে যে নারী সমাবেশ হয়—এটি তাঁর ছবি। ছবিটি পরদিন ১৬ মার্চ “পাক্ষিক চিত্রিতা” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আরেকটা কথা—বায়ান্ন সালে আমাদের এই শহীদ মিনার ছিল না। “মা–বোনেরা অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ মুক্ত কর” এই স্লোগানও ছিল না। আর একেবারে ডান দিকের ফেস্টুনে লেখা আছে—“শেখ মুজিবের পথ ধর, বাংলাদেশ মুক্ত কর”। একাত্তরের ছবিকে বায়ান্নর বলে চালিয়ে দেওয়া অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা। ”

পোস্টটি মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফেরদৌস হক লিনুকে ট্যাগ করা হয়। এরপরে সেখানে বিভিন্নজন নানা মন্তব্য করেন। শুরু হয় সমালোচনা।

এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘এটি বাংলা একাডেমি করেনি। আর পোস্টারটি ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top