সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


সহপাঠীকে ধর্ষণের ঘটনায় আবারও উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


প্রকাশিত:
৬ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:২১

আপডেট:
৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১৯

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় আবারও উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঘটনার বিচার দাবি করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল থেকেই অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাত্রী ধর্ষণের বিচার দাবি করে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।

এর আগেই বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য ও মধুর ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা।

ধর্ষণের খবর জানাজানি হলে গত রাত থেকেই দফায় দফায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।

রবিবার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

নরপিশাচকে গ্রেফতারে পুলিশকে অনুরোধ করেছি : ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতাদের জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, তাদের (জড়িতদের) ধরতে পুলিশ তৎপর আছে। তাদের (পুলিশ) অনুরোধ করেছি নরপিশাচকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে উপাচার্য সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত, চরম দুঃখজনক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এটি। হাসপাতালে তাকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ছাত্রীর মনোবল ভালো আছে। তার মনোবল খুব শক্ত আছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ তার অভিবাবক। বাবাসহ পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে আছে। প্রথমে তাকে মানসিকভাবে সামর্থ্য করে তুলতে হবে। তার কাছে আমরা ভিড় করব না। এখন মূলত প্রধান কাজ হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়া। পাশাপাশি নরপিচাশকে শনাক্ত করা, তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top