সিডনী বুধবার, ২২শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


২০২১ সালের জুন মাস থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু


প্রকাশিত:
২৯ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৫২

আপডেট:
৩০ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৫৯

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ২০২১ সালের জুন মাস থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সেতু বিভাগের মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে মাওয়া সংযোগ সড়ক, জাজিরা সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস অ্যারিয়া-২ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতু এবং নদী শাসন কাজের অগ্রগতি যথাক্রমে ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্টিল ট্রাসের মধ্যে ২০টি এরইমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ২১টি ২০২০ সালের জুলাই মাসের মধ্যে স্থাপন করা হবে। ইনশাল্লাহ আগামী জুন ২০২১ সালে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৬ স্টেশন বিশিষ্ট উভয় দিকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম আধুনিক সময় সাশ্রয়ী পরিবেশ বান্ধব ও বিদ্যুৎচালিত এমআরটি নির্মাণের লক্ষ্যে এমআরটি-৬ উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৬৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি-৬ বর্ধিত করার জন্য মাটির সমীক্ষা চলছে। এ অংশের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে ৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষের ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল সম্পূর্ণ অংশ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

মন্ত্রী জানান, উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-১-এর কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এমআরটি লাইন-১ দুটি অংশে বিভক্ত। এর একটি হচ্ছে ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্ডারগ্রাউন্ড বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো) বিমানবন্দর রুটেই বাংলাদেশে প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top