বেইজিংকে বাদ দিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে ঘনিষ্ঠতার ওপর জোর দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২২ ১৯:৪৩
আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৭

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার নতুন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবকে প্রতিহত করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে বেইজিং-এর আশাবাদী মন্তব্যকে খারিজ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার চিত্র তুলে ধরেন।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র "অকাস" নামে অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। এই চুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তি ভাগ করার একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত অন্তর্ভূক্ত ছিল। এটিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যায়। একজন প্রার্থী হিসেবে অ্যালবানিজ অকাস চুক্তিকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তারপর এপ্রিলে চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যা চীনকে “জাহাজ পরিদর্শন, যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জে বিরতি ও স্থানান্তর করার” অনুমতি দেবে। প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিং-এর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সংক্রান্ত এমন ভাষা ক্যানবেরা ও ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক পিটার জেনিংস এই সপ্তাহে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরে “পূবের হুমকিকে উপেক্ষা করছে যা আমাদের সামরিক ঘাঁটিকে পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য লক্ষবস্তুতে পরিণত করতে পারে।“
তবে চীন সংক্রান্ত নানান আলোচনার কারণে মঙ্গলবার চার কোয়াড নেতা সচেতনভাবে নির্বাচিত শব্দযুক্ত এক বিবৃতিতে দেশের নাম উল্লেখ করার ব্যাপারটি এড়িয়ে গেছেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: