পঙ্গু মানুষদের প্রাপ্য থেকে ১ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজন গ্রেফতার


প্রকাশিত:
২৭ মে ২০১৯ ১৬:৩৯

আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪১

পঙ্গু মানুষদের প্রাপ্য থেকে ১ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজন গ্রেফতার

শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু এবং অসমর্থ মানুষদের জীবনযাত্রার নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকার এনডিআইএস বা ন্যাশনাল ডিজেবিলিটি ইন্স্যুরেন্স স্কিম নামক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী সহায়তা দিয়ে থাকে। এ ধরণের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় যেসব সেবা প্রয়োজন, তা প্রদান করা বাবদ বেসরকারী কোম্পানীগুলোকে সরকারী অর্থপ্রদানের মাধ্যমেই মূলত এই সহায়তা দেয়া হয়। গত বুধবার সকালে সিডনির পশ্চিমাঞ্চলের লুরনিয়া এবং লিভারপুল এলাকায় এই সেবাসংক্রান্ত লেনদেনে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।



অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মার্ক ম্যাকলিন্টায়ার বলেন, সমাজ এইসব মানুষদের চুড়ান্ত প্রয়োজনের সময় সাহায্য করার চেষ্টা করছে। অথচ একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত এক্ষেত্রে জালিয়াতি করে টাকা তসরুফ করছে, যা সরাসরি এইসব অসমর্থ মানুষদের পকেট থেকে চুরি করার মতো। এটি একটি জঘন্য ধরণের কাজ যাকে ঘৃণা করা উচিত।



প্রায় ছয় মাস যাবত দীর্ঘ ও বিস্তারিত তদন্তে দেখা যায় পঙ্গু মানুষদের দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য এই প্রতারকরা সরকার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই তারা তা কখনো করেনি, অথবা যে কাজ করার কথা ছিলো তা তারা পুরোপুরি করেনি। তিনটি সেবাপ্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে প্রায় সত্তরজনেরও বেশি মানুষের সেবার জন্য এ ধরণের নেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১.১ মিলিয়ন ডলার।



এর মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই সিডনির পশ্চিমাঞ্চল ও ওলংগঙের তেইশটি বাড়িতে একসাথে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চাইল্ডকেয়ার সংক্রান্ত জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন পুরুষ এবং পনেরোজন নারীকে গ্রেফতার করে। প্রায় দশ মাস সময় ধরে তদন্ত শেষে বিভিন্ন ফ্যামিলি ডে কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বৈধ চাইল্ডকেয়ার ব্যবসার আড়ালে শিশুদের নাম ব্যবহার করে চার মিলিয়ন ডলার পরিমাণের সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।



এসব অভিযানের সময় পুলিশ পোর্শে, মার্সিডিজ এবং অডি সহ নানা কোম্পানীর তৈরী বিলাসবহুল গাড়ি এবং ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ির মালিকানাও জব্দ করছে। বর্তমানে এই ধরণের কাজকর্মকে অস্ট্রেলিয়ার আইনে সংঘবদ্ধ অপরাধ বা অর্গানাইজড ক্রাইম হিসেবে বিশেষায়িত করে এর সাথে জড়িত সিন্ডিকেটগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারী সংস্থাগুলো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান তদন্তগুলোতে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইমস স্কোয়াড, অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াড, ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন এন্ড ট্রেইনিং, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিমিনাল ইনটেলিজেন্স কমিশন বা আসিক, অস্ট্রেলিয়ান ট্যাক্সেশন অফিস বা এটিও সহ নানা সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যৌথভাবে অংশ নিচ্ছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top