বিদেশি অর্থের বরাদ্দ কমে যাওয়ার রেকর্ড


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫৫

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:১১

 

সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বাদ যাচ্ছে বৈদেশিক সহায়তার প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। যা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির সময়ও এত কাটছাঁট হয়নি।

ফলে এ অর্থবছর বৈদেশিক অংশে বরাদ্দ দাঁড়াতে পারে ৭৪ হাজার ২০ কোটি টাকা। এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া আছে ৯২ হাজার ২০ কোটি টাকা। সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এই বরাদ্দ কমানোর একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানে খাতভিত্তিক বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে চলমান সংকট মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। গত ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বৃহস্পতিবার বলেন, প্রকৃত সমস্যা কোথায় সেটি বোঝা যাচ্ছে না। বারবার তাগাদা দিয়েও বৈদেশিক অংশে টাকার খরচ বাড়ছে না। এটির পেছনে মূল কারণ হতে পারে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতার অভাব। এ ছাড়া দরপত্র প্রক্রিয়ায়ও অনেক সময় জটিলতা থাকে। সেই সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিকতাও কম দায়ী নয়।

যেকোনো ডকুমেন্ট তাদের সম্মতির জন্য পাঠালে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সঙ্গে পরামর্শক নিয়োগসংক্রান্ত জটিলতাও থাকে। তবে আমাদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে বিদেশি পরামর্শকের পেছনে বিপুল অঙ্কের টাকা লাগত না। কাজও দ্রুত হতো।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।

এ সময় তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার ৯৩ হাজার (৯২ হাজার ২০ কোটি) কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। মন্ত্রণালয়গুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আরএডিপিতে প্রকল্প সাহায্য বাবদ ৭৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক অর্থ যত বেশি ব্যয় করা যাবে ততই দেশের জন্য ভালো। কোনো কোনো বৈদেশিক উৎসের অব্যয়িত অর্থের কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হয়। তাই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সুযোগ থাকলে প্রকল্প সাহায্যের অর্থ সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top