অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব
প্রকাশিত:
১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:১২
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৬

আগামী বাজেটে অর্থ পাচার রোধে কোনো শর্ত ছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস এবং ভ্যাট, ট্যাক্স কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর রাজস্ব ভজবো এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া।
সভায় বিএলডিএ, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, সিমেন্ট মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, ফ্ল্যাট ও জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ অতিমাত্রার নিবন্ধন ব্যয় বিদ্যমান। একই সাথে পুরাতন ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে পুনরায় নতুন ফ্ল্যাটের সমান নিবন্ধনের অর্থ ব্যয় করতে হয় যা অযৌক্তিক। তিনি নিবন্ধন ব্যয় ৭ শতাংশ করার দাবি জানান।
এছাড়া নামমাত্র নিবন্ধন ব্যয় নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন করার ও দাবি জানান রিহ্যাব নেতারা।
অন্যদিকে গৃহায়ণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস ও অর্থ পাচার রোধে কোনো শর্ত ছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন আলমগীর শামসুল আলামিন।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ নিবন্ধন ব্যয় আসলেই অতি উচ্চ। নিবন্ধন ব্যয় কমানো আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য স্থানীয় সরকার এবং আইন মন্ত্রণালয়ে শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক হবে না বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, এখন যে পদ্ধতিতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা যায় ভবিষ্যতেও একই পদ্ধতিতে খোলা যাবে। তবে, অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে না। আমরা বাজেটে সব প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে চাই। কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বেশি সুবিধা পাবে আবার কেউ সুবিধা পাবে না সেটা আমরা হতে দেব না।
প্রাক বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিদ্যমান টার্নওভার ট্যাক্স শূন্য দশমিক ৬ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ, সর্বোচ্চ করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: