বিশ্বের অতি ধনীরা চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধে ২ লাখ কোটি ডলার হারিয়েছে


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০১৯ ২৩:৫০

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪০

বিশ্বের অতি ধনীরা  চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধে ২ লাখ কোটি ডলার হারিয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং সুদহার বাড়ার কারণে বিশ্বের অতি ধনীরা গত বছর শেয়ারবাজারগুলোয় ২ লাখ কোটি ডলার হারিয়েছেন।  



 



 



বিশ্বের অতি ধনী (সুপার রিচ) ব্যক্তিদের সাত বছর ধরে ধারাবাহিক সম্পদ বৃদ্ধির পর ২০১৮ সালে সমন্বিত সম্পদের মূল্য এক বছর আগের চেয়ে ৩ শতাংশ কমে ৬৮ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং আর্থিক বাজারগুলো পতনের জেরে অতি ধনীরা এ পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন। আর চীন এই পতনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



 



মূলত ট্রাম্প প্রশাসন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গত বছর শেয়ারবাজারগুলোয় বড় পতন দেখা যায়। ফলে পেনশন তহবিল ও বিশ্বের অভিজাতদের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



 



বিশ্বের অভিজাতদের নিয়ে জরিপ করা ফরাসি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপজিমিনির বার্ষিক ‘ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৯’ অনুসারে, গত বছর ‘হাই নিট ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়ালসের’ (এইচএনওয়াইআই) সংখ্যা প্রায় এক লাখ কমে ১ কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে। 



 



এইচএনওয়াইআই হিসেবে যেসব ব্যক্তির ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বা তার বেশি ‘বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ’ রয়েছে, তাদেরই বিবেচনা করা হয়। আর এখানে ব্যক্তির মূল আবাসন ও গাড়ির মতো ভোগ্যপণ্য বাদ দেওয়া হয়। 



 



বিশ্বের অতি ধনীদের ২ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের মধ্যে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারই এশিয়ার অতি ধনীরা হারিয়েছেন। আর এর মধ্যে মোট এইচএনওয়াইআই সম্পদ হ্রাসের এক-তৃতীয়াংশ ঘটেছে চীনে। চীনের শেয়ারবাজারে পতনই এই সম্পদ হারানোর মূল কারণ।  



 



তবে শুধু এশিয়াতেই নয় বরং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এইচএনওয়াইআই সম্পদ কমেছে।  এর মধ্যে লাতিন আমেরিকায় ৪ শতাংশ, ইউরোপে ৩ শতাংশ ও উত্তর আমেরিকায় ১  শতাংশ কমতে দেখা গেছে। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্যে এইচএনওয়াইআই সম্পদ ৪ শতাংশ বেড়েছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিধনীদের মোট সম্পদ কমেছে ১ শতাংশ।  



 



মূলত বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি অতি ধনীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,জার্মানি,জাপান, চীন, ফ্রান্স,   সুইজারল্যান্ড ও কানাডায় বসবাস করে।

  

এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতায় গত বছর এফটিএসই অল-ওয়ার্ল্ড সূচক ১১  দশমিক ৫ শতাংশ হারায়। এসময় লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত শেয়ারগুলো প্রায় ২৯ হাজার ৯৬৩ কোটি ডলারের (২৪ হাজার কোটি পাউন্ড) বেশি মূল্য হারিয়েছে। পাশাপাশি সাংহাই কম্পোজিটও ২৫ শতাংশ সূচক হারিয়েছে, ফলে বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন  হয়েছেন। 



 



ক্যাপজিমিনি জানিয়েছে, বৈশ্বিক শেয়ারবাজারগুলো ২০১৮ সালে শক্তিশালীভাবে যাত্রা করে। কিন্তু তারা একসময় সেই গতি হারিয়ে মন্থরগতি দিয়ে বছর শেষ করে। ক্রমবর্ধমান সুদহার ও বাণিজ্যের কারণেই এ ভরাডুবি ঘটে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top