ঈদের আগে ৯ দিনেই ৭২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৪২
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫৫

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এ কারণে চলতি আগস্ট মাসের ৯ দিনেই ৭২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর আগে এতো কম সময়ে এ পরিমাণ রেমিট্যান্স কখনও আসেনি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি অর্থ দেশে পাঠানোয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। এ ছাড়া বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। রেমিট্যান্স প্রবাহে সুখবর নিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন অর্থবছর।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের ওই অঙ্ক ছিল মাসের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। জুলাই মাসের ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসের শুরুতেও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ১২ আগস্ট কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। তার আগে ৯ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, ১-৯ আগস্ট পর্যন্ত ৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
রোজার ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠানোয় মে মাসে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা ছিল মাসের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পরিবার-পরিজানের কাছে বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া প্রণোদনা দেওয়ার কারণেও রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তবে ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা ধীরগতি থাকবে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি রেমিট্যান্সের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, আগস্ট মাসের প্রথম ৯ দিনে ৭২ কোটি ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ২২ লাখ ডলার। ৪০ বেসরকারি ব্যাংক এনেছে ৫২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। আর ৯টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: