বাংলাদেশে এখনো দারিদ্র কমেনি, প্রতি ৪জনে একজন দারিদ্র: বিশ্বব্যাংক


প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৮

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৫৫

বাংলাদেশে এখনো দারিদ্র কমেনি, প্রতি ৪জনে একজন দারিদ্র: বিশ্বব্যাংক

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশে এখনও প্রতি জনে একজন মানুষ দারিদ্রের মধ্যে বাস করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি প্রধান মার্সি টেম্বন।  তিনি বলেছেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়লেও দারিদ্র বিমোচনের গতি ততটা দ্রুত নয় উত্তরের জেলাগুলোতে।



দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের প্রথাগত নতুন উপায় উভয়ই দরকার বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, এর বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রমআয় বৃদ্ধির কারণে। ২০১০-২০১৬ সময়ে ৮০ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমাচ্ছে। তবে দারিদ্র্য কমছে তুলনামূলক কম গতিতে। ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমছে।



সোমবার রাজধানীর গুলশানের আমারি হোটেলেবাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্টনামে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।



প্রতিবেদনে বলা হয়, দারিদ্র্য হার কমেছে অসমভাবে। ২০১৯ সালে পূর্ব এবং পশ্চিমের বিভাগগুলোর দারিদ্র্য পরিস্থিতির ঐতিহাসিক পার্থক্য আবার ফিরে এসেছে। পশ্চিমে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং রাজশাহী খুলনায় একই জায়গায় রয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিতভাবে এবং বরিশাল, ঢাকা সিলেটে দ্রুত কমেছে।



বিশ্বব্যাংক পুরাতন উপাত্ত দিয়েছে : অর্থমন্ত্রী



বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে বিশ্বব্যাংক পুরাতন ডাটা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। সম্প্রতি ২০১০ থেকে ২০১৬- এই ছয় বছরে দেশের ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু এটি পুরাতন উপাত্ত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।



সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলেবাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্টনামে বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কথা বলেন।



অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে বিশ্বব্যাংক পুরাতন ডাটা দিয়েছে। আপডেট ডাটা দিলে দারিদ্র্যের চিত্র আরও উন্নত হতে পারতো। কেননা, দারিদ্র্য বিমোচনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি আধুনিক হচ্ছে। বাংলাদেশে ওয়ার্কিং পপুলেশনও শক্তিশালী।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top