করোনাভাইরাসের প্রভাবে ১৫শ’ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
প্রকাশিত:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:১৫
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:০১

প্রভাত ফেরী: বিজিএপিএমইএ সভাপতি কাদের খান বলেছেন, চীন আমাদের এক নম্বর ব্যবসায়িক অংশীদার ও উন্নয়ন সহযোগী। এক মাসের বেশি সময় চীনে করোনাভাইরাসের প্রভাব দেশের রফতানি খাতে মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি হোটেলে বিজিএপিএমইএ আয়োজিত বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাতের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে আগামী ৫-৬ মাস যদি চীন থেকে পণ্য না আসে বা বন্ধ থাকে তা হলে রফতানিখাতে প্রায় ১২শ-১৫শ কোটি টাকার সম্ভাব্য ক্ষতি হবে। চীন থেকে মোট এক্সেসরিজের ৪০ বা ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয়। তবে আমাদের যে চাহিদা রয়েছে এত অল্প সময়ে কাছাকাছি দেশ ভারতসহ অন্য কেউ এই সাপোর্ট দিতে পারবে না।
তবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি যদি চীনের কারখানাগুলো খুলে যায় তা হলে আমাদের চাহিদা পূরণে সময় লাগবে না। যদি কোনো কারণে সেটা না হয় তা হলে রফতানির জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। আমরা সাধারণত বন্ডেড ওয়্যার হাউসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করি। ইচ্ছা করলেই আমরা অনেক বেশি আনতে পারি না। আমাদের রফতানির ওপর একটা লিমিটেশন আছে। অর্থাৎ সারাবছর আমাদের আমদানি প্রাপ্যতা কত। সেটা বেইজ করে কারখানাগুলো পণ্য আমদানি করে থাকে যোগ করেন আব্দুল কাদের খান।
তিনি আরও বলেন, আমরা লোকাল মার্কেট থেকে কিছু কিছু পণ্য কিনতে গিয়ে দেখছি কোনো কোনো পণ্যে শতভাগ দাম বেড়ে গেছে। অর্থাৎ কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু করেছি। আর চীন থেকে যদি আগামী ৫-৬ মাস পণ্য আসা বন্ধ থাকে তা হলে রফতানিখাতে এর প্রভাব পড়বে। কাঁচামাল না পাওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ থাকবে, ব্যাংকের ইন্টারেস্ট বসে বসে দিতে হবে।
এজন্য আমাদের সেক্টরকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। অন্যদিকে চীনে ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক ছুটি থাকে ৭-১০ দিন। ওই সময়টা মাথায় রেখে আমরা পণ্য আমদানি করে থাকি। কিন্তু সময়টা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা এরই মধ্যে ৮-১০ দিনের গ্যাপে পড়ে গেছি। অনেকের পণ্য পোর্টে এলেও ডকুমেন্টস নেই। আবার ডকুমেন্টস আছে পণ্য নেই। চীনের ব্যাংকগুলো বন্ধ। সব মিলিয়ে সমস্যা কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে।
কাদের খান আরও বলেন, কাঁচামালের দাম বেড়েছে।
আগামী ১ বা দেড় মাস থেকে সমস্যা শুরু হবে। অন্যদিকে আমরা কিন্তু বায়ারদের কাছে বাড়তি মূল্য পাব না। কিন্তু পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষতি আমাদের হবেই। আর এরই মধ্যে আমাদের প্রায় ১০০ বা ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েই গেছে। এছাড়া আমাদের প্রায় ১ হাজার ৭৪৪টি প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৩৫টির মতো পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে এবং ৯৫ শতাংশ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: