শরণার্থীর ডিজাইনে মুগ্ধ হলিউড


প্রকাশিত:
৯ জুন ২০১৮ ১৪:১৫

আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৩

শরণার্থীর ডিজাইনে মুগ্ধ হলিউড

২০১৪ সাল। সিরিয়ায় চরম উত্তেজনা। ড্যানিয়েল ইশা নিজ দেশেও যেন পরবাসী। অন্যান্যদের মত বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে পালাতে হলো। শ্বরণার্থী হয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিলেন। প্রথম দিকে বেশ কষ্টেই দিন কাটাতে হয়। পরে আস্তে আস্তে স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচয় হলেন। লাক্সেরি ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি করে তিনি আজ কোটি টাকার মালিক। তার খদ্দের হলো প্যারিসের ধনী পরিবার ও হলিউডের শিল্পীরা।     



ত্রিশ বছর বয়সী ইশা দামেস্কে ফ্যাশন ডিজাইনের উপর লেখা পড়া করেছেন। তার ইচ্ছা ছিল নিজ দেশেই ক্যারিয়ার শুরু করবেন, যুদ্ধের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এখন তিনি ফ্রান্সের বেলজিয়াম সীমান্তবর্তী একটি শহরে বাস করছেন। সেখানেই তিনি মেধা কাজে লাগাচ্ছেন।



ইশার মনকাড়া ডিজাইনের স্নেকার (জুতা) দেখতে খুবই সাধারণ; কিন্তু কাজগুলো যে কাউকেই আকর্ষণ করবে। প্রতিটি স্নেকারের মূল্য ৩৩০ ইউরো।



বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী ওপী গোল্ডবার্গ ও তার বান্ধবী যুক্তরাষ্ট্রে একটি ফ্যাশান শো’র জন্য ইশার করা এই স্নেকারের অর্ডার দিয়েছিলেন। সে সময় স্নেকারের ডিজাইনারের কথা জেনেছিলেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ইশা জানিয়েছেন, ‘তার কাছে ২৮ ধরণের জুতার মডেল রয়েছে।’ 







আগামী দুই সপ্তাহ পর তিনি প্রথম দোকান উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যেই তার স্নেকার জার্মানির বিভিরলি হিলস, প্যারিস, আজাক্কো এবং ক্রোয়েশিয়ায় বিক্রি হচ্ছে।  



এই চিন্তাটা আসে ইশার দাদির মাথা থেকে। তার বাবা মা মনে করেন ফ্যাশন মেয়েদের কাজ সেটা ছেলেরা করবে কেন? তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার বরাবরই এর বিরোধীতা করেছে। তারা মনে করেন এটা নারীদের কাজ। তবে তাদের কাছে গোপন রেখেই আমি ও দাদি এই কাজ শুরু করি।’



ইশা সিরিয়াতেই তার শহর হোমসে ব্যবসা শুরু করেছিল। দুঃখজনক সেগুলো রেখেই তাদের পালিয়ে ফ্রান্সে যেতে হয়েছে। সেখানে একটি কারখানা ও দোকাছিল তাদের।



তিনি বলেন, ‘আমরা দামেস্কে শুরু করেছিলাম। এরপর প্রতিদিনই সেখানে বোমা হামলা হয়। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসি।’ 



ড্যানিয়ে ইশা বলেন, ‘আজ আমরা পরবাসী। আমার বিশ্বাস একদিন এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আসবে। আমরা আবারো জন্মস্থানে শান্তিতে বাস করতে পারবো।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top