অভিবাসী অপসারণের লক্ষে সৌদিতে ব্যাপক অভিযান


প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:৪৮

আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪২

অভিবাসী অপসারণের লক্ষে সৌদিতে ব্যাপক অভিযান

অবৈধ অভিবাসী অপসারণের লক্ষে সৌদিতে আবারও শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। প্রতিবছর হজ মৌসুম শেষ হওয়ার পর এ ধরপাকড় শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির পূর্বাঞ্চল শহরগুলোতে অভিযান শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সৌদি সংবাদমাধ্যম সাবাক নিউজ জানায়, এবারের ধরপাকড়ে 'সৌদিকরণ' আইন অনুসরণ করা হচ্ছে।



নারীদের কাপড়ের দোকান, ফার্নিচার সামগ্রী, অফিস আদালতের সামগ্রী ও অন্যান্য দোকানে নিয়োজিত বিদেশি শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশকে সৌদিকরণ করার লক্ষে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব দোকানে বিদেশি শ্রমিক বসানো নিষিদ্ধ।





 

এ ছাড়াও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে সৌদি সরকার। এমনকি অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ৬৬৮ জন সৌদি নাগরিককে আটক করার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে।



আরবি নতুন বছর থেকে চার ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগে ৭০ শতাংশ সৌদিকরণ বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই বিভিন্ন শপিং মলে চালানো হচ্ছে পুলিশি অভিযান।





 তেলসম্পদের ওপর নির্ভর দেশটি বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। দিনদিন বাড়ছে বেকার সমস্যা। নিজ নাগরিকদের বেকারত্ব দূর করতে প্রবাসী শ্রমিকনির্ভর বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সৌদিকরণের আওতায় আনে দেশটির সরকার।



এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ১২টি ব্যবসাকে সৌদি নারী-পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। এর মধ্যে শুরুতে চারটি ব্যবসাকে সৌদিদের জন্য বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি ও মোটরবাইক শোরুম, পুরুষ ও শিশুদের জন্য তৈরি পোশাকের দোকান, বাড়ি ও অফিসের আসবাবপত্রের দোকান এবং নিত্য প্রয়োজনীয় কিচেন সামগ্রীর দোকান। এ অবস্থায় দেশে রেমিটেন্সের উপর বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top