শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে হাতাহাতি


প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩

আপডেট:
১০ এপ্রিল ২০২৫ ০১:২৬

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে হাতাহাতি

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে ভোটের আহ্বান জানানোর পর সংসদে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলের সদস্যরা।  



১৫ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। স্পিকারের দিকে দৌড়ে এসে সংসদের মাঝখানে জড়ো হয়ে রাজাপক্ষের সমর্থকরা চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন।



বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, সংসদ সদস্যরা হাতাহাতি শুরু করলে কয়েকজন প্রতিপক্ষ লাথি মেরে তাদের মাটিতে ফেলে দেন। অন্যদিকে রাক্ষাপক্ষের সমর্থক কয়েকজন সংসদ সদস্য পানির বোতল, বই ছুড়ে মারেন।



নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পরদিনই সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।



শ্রীলঙ্কার স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা অনাস্থা জানানোর কারণে শ্রীলঙ্কায় এখন কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদ নেই।’



আর মাহিন্দা রাজাপক্ষ দাবি করেন, কণ্ঠভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে দেওয়ার কোনো ক্ষমতা স্পিকারের নেই।



সংসদের অনাস্থা ভোটের প্রতি ভিন্নমত পোষণ করে রাজাপক্ষ বলেন, ‘ভোট গ্রহণ করা উচিত। তবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কণ্ঠভোটের মাধ্যমে পাস করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের অপসারণ বা নিয়োগের কোনো ক্ষমতা জয়সুরিয়ার নেই।’



তিনি অভিযোগ করেন, স্পিকার পক্ষপাতিত্ব করেছেন কারণ তিনি বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন।



রাজাপক্ষ সংকট সমাধানের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান।



গত ২৬ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তখন মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে অপসারণ করে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top