পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে মশাল মিছিল জাতীয় বাংলা সম্মেলনের
প্রকাশিত:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৪১
আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৪২

প্রভাত ফেরী: করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে জেইই ও নিট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও বাংলা বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাল জাতীয় বাংলা সম্মেলন।
এই মশাল মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন সংগঠনের সভাপতি অনির্বান বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধব্রত দাসসহ নানান সংগঠনের একাধিক সদস্যবৃন্দ।
অনির্বান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রাপ্য জিএসটির টাকা ফেরত না দেওয়ার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের বাংলা বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে। আমফানের সময়েও আমাদের হাতে সামান্য টাকা ধরিয়ে কেন্দ্র চলে গিয়েছিল।
সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধব্রত দাস বলেন, জেইই পরীক্ষা দিতে গিয়ে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর ব্যাপক সমস্যার মধ্য পড়ে। একদিকে সরকার এই করোনা পরিস্থিতিতে জয়েন্ট নিতে এত তৎপর কিন্তু অন্য দিকে ২০১৭ থেকে এসএসসি সিজিএল এর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হয়নি। ২০১৮র ফলাফল আজও প্রকাশ পায়নি।
এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি কোনও নির্দিষ্ট সরকারের নয়, দেশের নীতি। দেশের স্বার্থের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু হওয়া প্রয়োজন। সোমবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য পেশের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শিক্ষানীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষে সওয়াল সওয়াল করেন তিনি। জানিয়ে দেন, নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সহায়ক হবে। তাঁর কথায়, নতুন কোনও নীতি লাগু হওয়ার আগে নান প্রশ্ন ওঠে। এক্ষেত্রে শিক্ষার অংশীদারদের আলোচনার মাধ্যমেই তার নিরসন সম্ভব।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমরা পরিবকর্তনের দিকে এগোচ্ছি। ফলে একাধিক প্রশ্ন ও সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। অভিভাবকরা ভাবছেন নতুন ব্যবস্থায় সন্তানদের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হবে। শিক্ষক সমাজ মনে করছেন পাঠক্রম কেমন হবে। পড়ুয়াদের মনেও নানা প্রশ্ন উঠছে। জাতীয় শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সংস্থানগুলির প্রাপ্যতা সম্পর্কে অংশীদারদের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ভ্রান্তি দূর হবে। সচেতন হবেন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত তার প্রধান অংশীদার পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। একবার সন্দেহ ও ভ্রান্তি দূর হলেই নয়া নীতি সঠিক ও সিন্দরভাবে বলবৎ করা যাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যগুলোতে অনলাইনে সভা করার জন্য রাজ্যপালদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: