সু চিকে গোপনে বা প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন যারা


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০১৯ ০৩:১১

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:০৩

সু চিকে গোপনে বা প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন যারা

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে একসময় ‘গণতন্ত্র ও মুক্তির’ প্রতীক বলেই মনে করা হতো। বিশ্বজুড়ে তার গুণগ্রাহীরও অভাব ছিল না। কিন্তু রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে নেতিবাচক ভূমিকার কারণে সেই সু চিই আজ সর্বমহলে নিন্দিত। একের পর এক আন্তর্জাতিক খেতাব হারানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে অনেকটাই অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে এই দুর্দিনেও বেশ কিছু রাষ্ট্রনায়ক এখনও সু চিকে গোপনে বা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।



বিশ্বব্যাপী সমালোচনা এবং একের পর এক খেতাব হারানোর পরেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চি তার অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসেননি। তার প্রতি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সমর্থনই এর মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।



নিন্দিত সু চি’র বন্ধু তালিকায় একেবারে প্রথমেই চলে এসেছেন হাঙ্গেরির উগ্র ডানপন্থী অভিবাসনবিরোধী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। গত বুধবার হাঙ্গেরি সফরে গিয়ে সু চি অরবানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসলাম ও অভিবাসন নিয়ে তারা দুজনই একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছেন।



সু চি’র আরেক মিত্র হিসেবে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রোহিঙ্গা ইস্যুতে অধিকাংশ দেশ সু চির সমালোচনা করলেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কখনই তেমনটা করেননি। ভাবা হয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতেই চীন সবসময় মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে গেছে। শি জিন পিংও এই প্রথার ব্যতিক্রম ঘটাননি।



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে কখনও সু চির প্রতি সমর্থন জানাননি। কিন্তু রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে তার নিশ্চুপ থাকাটাই বলে দেয় যে তিনি সু চির পক্ষেই রয়েছেন।



দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা আসিয়ানের বেশিরভাগ নেতাও সু চির বন্ধু বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও আসিয়ান এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার যে লোকদেখানো পদক্ষেপ নিয়েছে আসিয়ান তাতে বাহবা দিয়ে যাচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top