ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিয়ে হঠাৎ আলোচনা


প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০১৯ ০৭:২৬

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:০৬

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিয়ে হঠাৎ আলোচনা

অনেক দিন পর আবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেটি মূলত দুটি কারণে।



সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আএইএ) এই দেশটিকে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে যোগ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল এই সংস্থাটি।



আএইএ’র মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো ও ভিয়েনায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত সালাহ আবদুশ শাফি এ নিয়ে মঙ্গলবার একটি চুক্তিতে সই করেন।



এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটের মানচিত্রেও স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিন। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী উল্লেখ করে ওয়েবসাইটের মানচিত্রে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির সরকারি এ ওয়েবসাইটের মানচিত্র থেকে ইসরায়েলের তথ্য মুছে ফিলিস্তিনের নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।



গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, বর্বরতা, গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের পর বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছর পাঁচেক আগে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটার পর একটা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে যাচ্ছে।



পশ্চিমা রাষ্ট্র সুইডেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্র বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক-রিপাবলিক, মাল্টা ও রুমানিয়াসহ আরো রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। 



২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের শতাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top