করোনার মধ্যে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও চেক রিপাবলিক লকডাউন তুলে নিচ্ছে


প্রকাশিত:
১২ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৩

আপডেট:
১২ এপ্রিল ২০২০ ২০:২২

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: প্রাণঘাতি করোনার থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। অদৃশ্য এ ভাইরাসের কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইউরোপে। সেই ইউরোপেরই তিনটি দেশ লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বে নিশ্চিতে যেসব কঠোর নিয়ম আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো শিথিল করে অর্থনীতির চাকায় আবার গতি ফেরাতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

আগামী সপ্তাহে লকডাউন শিথিল করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া। আর সত্যিই যদি এমনটা হয় তাহলে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট খুলে দিতে যাচ্ছে দেশটি। ১৫ এপ্রিল থেকে স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টারগুলো খুলে দিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। গেল তিন সপ্তাহ এসব বন্ধ ছিল দেশটিতে। সামাজিক দূরত্বে আরোপিত বিধিনিষেষ এপ্রিলের ৯ তারিখেই কিছুটা শিথিল করেছে চেক রিপাবলিক। ১৪ তারিখ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে যে দেশ দুটিতে, অর্থাৎ ইতালি ও স্পেন, সেই দেশ দুটিও বিধিনিষেষ শিথিল করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। পরে অবশ্য অন্তত আরও কয়েক সপ্তাহ এভাবেই চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব লেইদেনের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আর্জেন বয়েন মনে করেন, প্রত্যেকটা দেশই এখন তাদের নিজেদের মতো করে একটা সুবিধাজনক সময় পেতে চাচ্ছে, যাতে করে তারা সবকিছু স্বাভাবিক করতে পারে। গণতান্ত্রিক সরকারগুলো বহুদিন এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। তাদের এখন দুটি জিনিসের একটিকে বেছে নিতে হবে। তা হলো হয় তাদের মহামারি আবার ফিরে আসার হুমকি উড়িয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে পা বাড়াতে হবে, অথবা অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে যাবে- সেটা দেখতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রচুর বুদ্ধিমত্তা ও অন্য রকম নেতার প্রয়োজন হবে।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ইউরোপিয়ার পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ মার্টিন ম্যাককি বলছেন, এটা আসলে একটা পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। সেটা ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো বাকি সব পরীক্ষার মতো এ ক্ষেত্রেও কিছু ঝুঁকে থেকে যায়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top