ফ্যাশন চমকে কাটুক নতুন বছর
প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২০ ০০:০৯
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৫১

প্রভাত ফেরী : আমাদের জীবনের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ফ্যাশন। তাই নতুন বছরে নতুন করে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায় অনেকেই। সাজ-পোশাকই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। তাই নতুন বছরের ফ্যাশন ভাবনায় যোগ করে নিতে পারেন মার্জিত রুচি এবং দেশাত্মবোধক ভাবকে।
নতুন বছরে নিজেকে উপস্থাপন করতে তাঁতের শাড়ি, জামদানিসহ এ ধরনের দেশি শাড়ি পরে দেশীয় ফ্যাশনকে তুলে ধরতে চাই। শাড়ি শুধু একটি পোশাক নয়, শাড়ি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই শুধু উৎসব বা পার্বণেই নয়, নতুন বছরে বাঙালি নারীর পছন্দের পোশাক হিসেবে শাড়িই থাকুক সবার ওপর। ঐতিহ্যবাহী মসলিন, যশোরের মনিপুরি, জুট কাতান, জুট কটন, সুপার নেট, চন্দ্রি কাতান, ঢাকাই জামদানি, মিরপুরের কাতান, বালুচরি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, টাঙ্গাইলের কাতান, সুতি, পাবনার কাতান, হাফ সিল্ক, পিউর সিল্ক, চোষাসহ বিভিন্ন কাপড়ের দেশীয় শাড়িই আমাকে সবসময় টানে। এখন তো দেশীয় কাপড়ে অ্যাপ্লিক, অ্যামব্রয়ডারি, স্কিন প্রিন্ট, কার্ট ওয়ার্ক, কাঁথা স্টিচ, বøক, জরিপাতি, হাতের ও কারচুপি কাজ করে তৈরি করা হয় দারুণ সব শাড়ি।
পাঞ্জাবিতে পরিপূর্ণ : নতুন বছরের ফ্যাশন ভাবনা নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনারদের ক্রেতাদের চাহিদা এবং রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিজাত ফ্যাশন হাউস এবং বুটিক হাউসগুলোতে নান্দনিক পোশাকের রাখতে হয়। পোশাকে প্রাধান্য দিয়েছে শিল্পকে, আবহমান সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গকে। আর এ দেশীয় সংস্কৃতি মাখা পোশাকই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করছে মানুষকে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের। দেশীয় কাপড় দিন দিন অনেক উন্নত হচ্ছে। শুধু ডিজাইনে নয়, মানের দিক দিয়েও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই দেশীয় পোশাক। নিজেদের অস্তিত্বকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন উৎসব কিংবা পার্বণ ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, সব জায়গাতেই পরতে হবে দেশীয় পোশাক। সে ক্ষেত্রে ছেলেরা পরতে পারেন পাঞ্জাবি। বয়স এবং রুচির সঙ্গে মানানসই দেশীয় যেকোনো পোশাকই হোক আমাদের নতুন বছরের নতুন ফ্যাশনের বাহক।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: