রাসূল (সা) যেভাবে ঈদ পালন করতেন
প্রকাশিত:
১ আগস্ট ২০২০ ০১:৪২
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১৯

মুসলমানদের প্রধান উৎসব ঈদের দিনকে ইবাদত-বন্দেগি দ্বারা মাহাত্ম্যপূর্ণ করা হয়েছে। ঈদের আগের রাতে ইবাদতের তাৎপর্য সম্পর্কে রাসূল (সা) বলেনঃ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে জাগ্রত থাকবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ওই দিন মৃত্যুবরণ করবে না যেদিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে।’ ইবনে মাজাহ। এছাড়াও ঈদের দিনেও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট ইবাদত। চলুন দেখে নেই রাসূল (সা) যেভাবে ঈদ পালন করতেন-
-ঈদের দিনে রাসূল (সা.) সকালেই গোসল করে নিতেন।
-গোসল করার পর তিনি তার সর্বোত্তম পোশাকটি পরিধান করে নামাজে যেতেন।
-ঈদুল ফিতরের সময় কিছু না খেয়ে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন না। কিন্তু ঈদুল আযহায় তিনি না খেয়েই নামাজে যেতেন এবং ফেরার পর কুরবানীর গোশত দিয়েই দিনের প্রথম আহার গ্রহণ করতেন।
-রাসূল (সা.) পায়ে হেটেই ঈদের নামাজের জন্য যেতেন। তিনি যে পথ দিয়ে নামাজের জন্য যেতেন, ফেরার সময় সে পথে না ফিরে ভিন্ন পথে ঘরে ফিরতেন।
-ঈদুল আযহার সময় জোরে জোরে তাকবীর তথা ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” উচ্চারন করতে করতে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন।
-রাসূল (সা.) সাধারনত বিশাল খোলা স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।
-ঈদের নামাজের আগে পরে তিনি কোন নামাজ আদায় করতেন না।
-ঈদের নামাজের জন্য কোন আযান বা ইকামত নির্দিষ্ট থাকতো না।
-ঈদের নামাজ আদায়ের পর রাসূল (সা.) ঈদের খুতবা দিতেন।
-ঈদের নামাজের পর রাসূল (সা.) নামাজ পড়ার স্থানেই সাধারনত কুরবানী করতেন।
-রাসূল (সা.) ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং নামাজের আগে কুরবানী দেওয়া ব্যক্তিদের নামাজের পরে পুনরায় কুরবানীর আদেশ দিয়েছেন।
-তাশরিকের দিনগুলোতে তথা জিলহজ্জ্বের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ তাকবীর পাঠ করা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সুন্নত। এই দিনগুলোতে ফরজ নামাজের পর পর রাসূল (সা.) তাকবীর পাঠ করতেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: