সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ এবং টাখনুর নিচে কাপড় না পরার বিধান
প্রকাশিত:
২০ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩০
আপডেট:
২০ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩৯

কোরআনের আলোকে সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করো, অসৎকাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করো। আহলে কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তবে তাদের জন্য ভালো হতো। তাদের মধ্যে কয়েক জন মুমিন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশ সত্যত্যাগী।’ (সুরা আলে ইমরান : ১১০)
শিক্ষা
১. আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদিকে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন। উম্মতে মুহাম্মদির দায়িত্ব মানবজাতির কল্যাণ করা।
২. মানুষকে সৎকাজের প্রতি আহ্বান করা, দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং প্রচার-প্রসার করা এবং অসৎকাজ থেকে বারণ করা, মানুষকে সতর্ক করা উম্মতে মুহাম্মদির ওপর অর্পিত দায়িত্ব।
৩. কোনো মুমিন যখন সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে, তখন তার বিশ্বাস আরো মজবুত হতে থাকবে।
৪. শুধু অন্যকে ভালোকাজের কথা বলা ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করা নয়, নিজেও পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করা।
হাদিসের আলোকে টাখনুর নিচে কাপড় না পরা
হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি এমন রয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন ওই সব ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না, বরং তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন। রাসুল (সা.) তিনবার এটা বললেন। আবু জর (রা.) বললেন, তাহলে তো এসব ব্যক্তি অকৃতকার্য হলো এবং ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেলো। ইয়া রাসুলাল্লাহ! এসব ব্যক্তি কারা? তখন নবীজি বললেন, যারা নিজেদের লুঙ্গি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রাখে, যারা অনুগ্রহ করে খোটা দেয় এবং যারা মিথ্যা কসম খেয়ে নিজেদের মাল বিক্রি করে।’ (মুসলিম : ২৯৩)
শিক্ষা
১. কেয়ামতের দিন সব মানুষ আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত লাভের প্রত্যাশী হবে। সেদিন যে ব্যক্তির ওপর আল্লাহ নারাজ হবেন তার পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।
২. পরিধেয় কাপড় টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে না রাখা। বরং টাখনুর উপরে রাখা।
৩. কারো প্রতি দান করে বা সাহায্য করে আবার খোঁটা দেওয়া খুবই হীন কাজ। দুনিয়াতেও এটা নিন্দনীয় এবং আখেরাতেও এর পরিণাম কঠিন শাস্তি।
৪. সম্পদ বিক্রির জন্য মিথ্যা কসম থেকে বিরত থাকা। সাধারণভাবেই মিথ্যা বলা হারাম ও গুনাহের কাজ। আর কেনা-বেঁচার ক্ষেত্রে তো অন্যের হক ও অধিকারও জড়িত। এটা অনেক শক্ত বিষয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: