সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


কিছু কৃতকর্মের জন্য কবরের ভয়ংকর আজাব ও নাজাতের আমল


প্রকাশিত:
১৫ মে ২০২০ ১০:৪৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৫

 

প্রভাত ফেরী: রমজান মাসে কবরের আজাব লাঘব করা হয়। বিভিন্ন হাদিসে এ রকম অনেক সুসংবাদ রয়েছে। নাজাতের মাসে বেশি বেশি কবরের আজাব লাঘবের দোয়া করা চাই। হাদিসে এসেছে, হজরত জায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একবার বনি নাজ্জারের একটি বাগানে একটি গাধীর ওপর আরোহিত ছিলেন। আমরাও তার সঙ্গে ছিলাম।

গাধীটি হঠাৎ এমনভাবে পথ থেকে দূরে চলে গেল, রাসুলকে (সা.) ফেলে দেওয়ার উপক্রম করল। দেখা গেল সেখানে ছয়জন বা পাঁচজন অথবা চারজনের একটি কবর রয়েছে। রাসুল (সা.) বললেন, এ কবরগুলোতে কারা শায়িত আছে, তোমরা কি কেউ চেন? এক ব্যক্তি বলল, আমি চিনি। তিনি বললেন, এরা কবে মারা গিয়েছে? লোকটি বলল, এরা মুশরিক অবস্থায় মারা গিয়েছে। তিনি বললেন, এই উম্মতকে কবরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

আমার যদি আশঙ্কা না হতো যে, তোমরা ভয়ে মারা যাবে, তা হলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, যাতে তিনি তোমাদের কবরের আজাব শোনান যেভাবে আমি শুনি। এরপর তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে প্রার্থনা কর। তারা বললেন, আমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে প্রার্থনা করি। তিনি বললেন, তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফেতনা থেকে প্রার্থনা কর। তারা বললেন, আমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফেতনা থেকে প্রার্থনা করি। তিনি বললেন, দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। তারা বললেন, আমরা দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। (মুসলিম : ৭৩৯২)

অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি বললেন, এ কবরবাসীদের আজাব হচ্ছে। অবশ্য বড় কোনো পাপের কারণে তাদের আজাব হচ্ছে না। এরপর তিনি বললেন, হ্যাঁ, এদের একজন গীবত করত। অন্যজন তার পেশাব গায়ে-কাপড়ে লেগে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকত না। (বুখারি : ২১৩; মুসলিম : ৭০৩)। নাজাতের মাসে কবর থেকে নাজাতের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা চাই।


বিষয়: ইসলাম


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top