প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে থাকছেন না সাকিব


প্রকাশিত:
২ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২২

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৩

 

শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অজুহাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে রাজি ছিলেন না সাকিব আল হাসান। অনেক নাটকীয়তার পর সেখানে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু পরিবারের কয়েকজন সদস্য অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে খেলার পরই বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে খেলছেন না সাকিব। আশা ছিল দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো খেলবেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, পারিবারিক কারণে দ্বিতীয় ম্যাচেও থাকছেন না সাকিব। ৭ই এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
গতকাল ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজকে নান্নু বলেন, ‘সে (সাকিব) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও থাকছে না। সাকিব আমাদের জানিয়েছে, পারিবারিক কারণে সে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে।

কারণ সেখানে তার পরিবারকে সেটআপ করতে হবে।’
গতকাল কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে দেশ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রে সাকিবের সঙ্গে যেতে পারেননি তার স্ত্রী শিশির। ছোট মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন বাংলাদেশে। ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে থাকবেন শিশির। যিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই গতকাল সাড়ে ৮টায় দেশ ছাড়েন সাকিব। এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে মেয়ের স্কুল খোলা থাকায় তাকে যেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা তাকে পাচ্ছি না।’
ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সাকিবের মা, শ্বাশুড়ি ও সন্তানরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে অসুস্থ স্বজনদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সিরিজ শেষ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। আর ব্যাট হাতে শেষ সময়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটিতে দলকে পৌঁছে দেন ঐতিহাসিক জয়ের গন্তেব্য।
তৃতীয় ওয়ানডের পর বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভীর আহমেদ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, আপনারা সবাই জানেন, এটা মেডিকেল কন্ডিশন। কেউ আগে থেকে কিছু বলতে পারছে না। যদি সব ঠিক থাকে, সাকিব বলেছে সে ফিরে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেবে। যদি সম্ভব হয় তার পক্ষে, তাহলে সে যোগ দেবে (প্রথম টেস্টে)। তারপরও যদি না হয়, তাহলে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য চেষ্টা করবে। সাকিব খুব করে চেষ্টা করছে টেস্ট সিরিজ খেলার। সে খেলতে চায়। আমরা (ওয়ানডে) সিরিজ জয় করলাম তাকে নিয়ে। টেস্টেও আমরা চাচ্ছি জিততে। এজন্য সাকিব ফিরে এসে খেলতে আগ্রহী, যদি সবকিছু ঠিক থাকে।
তবে সাকিব শেষ পর্যন্ত না খেলার সিদ্ধান্তই নিলেন। তার এ সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) জন্য সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছিল মোহামেডান। এই অলরাউন্ডার যেন ডিপিএলে খেলতে পারেন সেজন্য বিসিবিকে চিঠিও দেয় ক্লাবটি। এখন সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ায় তার ডিপিএলে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top