মাঠেই ইফতার সারছেন মুসলিম ফুটবলাররা


প্রকাশিত:
৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:২২

আপডেট:
১৮ মার্চ ২০২৫ ০৭:২৪

 

চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রান মুসলামানের মতো এই মাসে রোজা রাখছেন বিভিন্ন দেশের লিগে খেলা ফুটবলাররাও। রোজা রেখেই তারা খেলছেন লিগ বা টুর্নামেন্ট। খেলা চলাকালীনই সময় হয়ে যায় ইফতারের। রোজা রাখা মুসলিম ফুটবলারদের জন্য ইফতারের সময়ই বন্ধ রাখা হচ্ছে খেলা। এই সময় ফুটবলাররা ইফতার পর্ব শেষ করেই ফের নেমে পড়ছেন মাঠে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই সুবিধা পাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। গত সোমবার ইংলিশ লিগের খেলা চলছিল এভারটন ও টটেনহ্যামের। ম্যাচের ২৬ মিনিট বয়সে ইফতারের সময় হয়। তখনই রেফারি খেলা থামিয়ে দেন ফুটবলারদের ইফতার করার জন্য। অবশ্য এ বিরতি দিতে গোলকিক, ফ্রি-কিক বা থ্রো-ইনের বিরতির গ্যাপের অপেক্ষায় থাকেন রেফারি। এভারটনের তিন ফুটবলার আবদুল্লায়ে দুকুরে, আমাদু ওনানা এবং ইদ্রিসা গুইয়ের জন্য মাঠে পানীয় নিয়ে আসেন ক্লাবের দায়িত্বশীলরা। তবে বিষয়টি অবশ্য নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্মকর্তাদের ওপর। তারা যদি আগেই রেফারিকে বলে রাখেন ইফতারের বিরতির কথা তাহলেই বাঁশীওয়ালা খেলা থামিয়ে দেন।

শুক্রবার ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচে বার্নলে ও সান্ডারল্যান্ডের খেলা নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে শুরু হয়। তা দু‘দলের মুসলিম ফুটবলারের ইফতারের সুবিধার জন্য। লিস্টার সিটি ও অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচে দু‘দলের ফুটবলার নেমপ্লেইস মেন্ডে এবং বুউবাকার কামারা বিরতির সুযোগে মাঠে ইফতার করেন। একই সাথে বোর্নেমাউথ ও ব্রাইটন এবং লিডস এবং নর্টিহ্যামফরেস্ট ম্যাচেও ইফতারের বিরতি দেয়া হয়।

ইংলিশ লিগে মুসলামন ফুটবলারদের জন্য ইফতারের বিরতি দেয়া হলেও ফ্রান্সের লিগ ওয়ানে এই সুযোগ নেই। ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন স্পষ্ট করেই বলেছে রেফারি কোনোভাবেই ইফাতরের জন্য খেলা বন্ধ রাখতে পারবে না।
রোববার রেইমসের কাছে ০-৩ গোলে হারে নান্তেস। রোজা রাখার জন্য এই ম্যাচে খেলতে নামেননি জাওয়েন হাজাম। নান্তেসে মোট ছয়জন মুসলিম ফুটবলার থাকলেও শুধু মাত্র আলজেরিয়া জাতীয় দলের ১৮ বছর বয়সী হাজামই রোজার কারণে খেলতে অস্বীকৃতি জানান।

দলের কোচ অ্যান্থনীয় কোমবাউরে জানান, ‘এটা হাজামের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমি এটাকে সম্মান করি। তবে খেলার সময় কোনোভাবেই রোজা রাখা যাবে না। একজন ফুটবলারকে অবশ্যই খেলার জন্য সম্পূর্ন তৈরি থাকতে হবে। তার যুক্তি, রোজা রেখে ফুটবল খেললে তাদের ইনজুরির শঙ্কা থাকে। আমি তাদেরকে ইনজুরিতে ফেলতে পারি না।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top