ফের ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা
প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১৫
আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০৫

এশিয়া কাপে ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। বর্তমান পাকিস্তানের পেস বোলিং ইউনিটের সক্ষমতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই অবগত। বিশ্বের সেরা ব্যাটারদেরও শাহিন শাহ আফ্রিদি-নাসিম শাহ এবং হারিস রউফকে মোকাবেলা করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই গতকাল যে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নেমে অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে টাইগারদের তা আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। তবে এর মধ্যে আশা জোগাচ্ছিল সবশেষ আফগানিস্তানের ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। সে ম্যাচে আফগান সেরা বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিল মিরাজ-শান্ত-সাকিবরা। তুলে ছিল বড় সংগ্রহও। কিন্তু সেই ম্যাচের পারফরম্যান্স এই ম্যাচে টানতে পারেনি সফরকারীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আবারও দেখিয়েছে নিজেদের ব্যাটিং দুর্বলতা। এদিন পাক বোলারদের সামনে আট ব্যাটার নিয়ে নামলেও শুধু মাত্র ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমই।
বুধবার টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে তাদের বিশ্বমানের পেস বোলিং ইউনিটের সামনে যেন একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন টাইগাররা, গুটিয়ে গিয়েছিলেন ২০০ রানের কমেই। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত এ ম্যাচসহ ৬ বার ২০০ রানের কমে ইনিংস শেষ করেছে। যার মধ্যে চলমান এশিয়া কাপেই এটি দ্বিতীয় ম্যাচ যেখানে ২০০ রানও করতে পারেনি সাকিব-মুশফিকরা। এর আগে এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গেল বৃহস্পতিবার সহস্বাগতিক দেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিলেন টাইগাররা।
গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে অধিনায়কের নেওয়া সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। ইনিংসের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ‘মেকশিফট’ ওপেনার হিসেবে নামা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। নাসিম শাহর করা গুড লেন্থে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি লেগে ঘুরানোর চেষ্টা করেন আউট হন গত ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটার। এরপর ৯ ওভারের মধ্যে দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে টাইগাররা হারান নাঈম শেখ, লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়কে।
পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া দলকে ধীরে ধীরে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দুজনই দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। আশাও বাড়ছিল বড় রানের। এর মধ্যে জুটির একশর সঙ্গে সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। কিন্তু এরপরই যেন বিভ্রান্ত হয়ে যান সাকিব। তার পেটের কাছে থাকা বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব।
মুশফিকুর রহিমও তিলে তিলে তৈরি করা ইনিংসের শেষটা করতে পারেননি ঠিকভাবে। ৫ চারে ৮৭ বলে ৬৪ রান করে মুশফিক রউফের বলে মারতে গিয়ে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন। এর আগে ২৩ বলে ১৬ রান করে ফেরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীও। এরপর আর কোনো ব্যাটারই সেইভাবে উইকেটে পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবেলা করতে পারেননি, ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যেই। স্বাগতিকদের করা ৩৭ ও ৩৮ ওভারের মধ্যেই টাইগাররা হারিয়েছে তাদের শেষ চার উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে হারিস রউফ চার, নাসিম শাহ তিন ও শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন এক উইকেট। আর একটি করে উইকেট নেন ইফতেখার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: