ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রোটিয়া ক্রিকেটারের
প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৫৯
আপডেট:
৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:২৮

প্রভাত ফেরী, স্পোর্টস ডেস্ক: নানাবিধ দুর্নীতি ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গুলাম হোসেন বদির। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেট বিশ্বের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল হ্যানসি ক্রনিয়ের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি। সেই ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে আরেকটি কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে আলোচনায় গুলাম বোদি। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নতুন আইনে প্রথম প্রোটিয়া ক্রিকেটার হিসেবে ৫ বছরের জেল হয়েছে তার।
২০০০ সালে প্রোটিয়া অধিনায়ক হানসি ক্রুনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ২০০৪ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য নতুন আইন করা হয়েছিল। সেই আইনের বেড়াজালে কারাদণ্ড হওয়া প্রথম ক্রিকেটার গুলাম বদি। এর আগেই অবশ্য ২০ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
ঘটনাটি ২০১৫ সালে। তখন সুপার স্পোর্টের ধারাভাষ্যকার পরিচয়েরই সুযোগটি নিয়েছিলেন। সাবেক সতীর্থ ও ক্রিকেটারদের এই বলে ফুসলানোর চেষ্টা করেন- কীভাবে সহজে টাকা উপার্জন করা যায়!
কোর্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথমে একজন ভারতীয় বাজিকরই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল বোদির কাছে। তারপর নিজের পরিচিত মাধ্যমে এ প্রস্তাব নিয়ে যান বোদি। সেখানে ছিলেন তার সতীর্থ ও প্রোটিয়া ক্রিকেটার আলভিরো পিটারসেনও। ঘটনা তদন্তের পর ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বোদিকে। আর পিটারসেনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এক বছর। তিনি অবশ্য শাস্তি কাটিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেট অঙ্গনে।
এদিকে গুলাম বদি ছাড়াও ২০১৫ সালের ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ইথি বালাথি, থামি সোলেকিলে, জন সাইমস, লনওয়াবো সৎসোবে, পুমি মাথসুইকে এবং আলভিরো পিটারসেনদের ২ থেকে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এদের কাউকেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এরই মধ্যে নিজের শাস্তি কাটিয়ে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরেছেন পিটারসেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: