১৫০ রানে অলআউট বাংলাদেশ
প্রকাশিত:
১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪০
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:০১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা খুব বাজেভাবে করল বাংলাদেশ। ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় স্কোর না হোক, নূন্যতম লড়াই করতে পারল না মুমিনুল হকের দল। ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনের দুই সেশসনেই টাইগাররা অল-আউট হয়ে গেছে মাত্র ১৫০ রানে! বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন ভারতের পেসাররা। সমান তালে বল ঘূরিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন-রবীন্দ্র জাদেজারা। তাদের যোগ্য জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশের কেউ। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।.
ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মা, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামির সঙ্গে ঘূর্ণি নিয়ে হাজির ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। ফলে, অনায়াসেই ভারতের এই বোলিং লাইনআপের সামনে বালির বাধের মত ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শামি ৩টি, যাদব, ইশান্ত এবং অশ্বিনরা নেন ২টি করে উইকেট। তাইজুল হয়েছেন রানআউট।
এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয় শুরু হয়েছিল প্রথম থেকেই। মাঝে ছোট ছোট দুটি জুটি বিপর্যয় কিছুটা কাটানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু আখেরে লাভ কিছুই হয়নি। একের পর এক উইকেট যাচ্ছেই। ৪ উইকেটে ১০০ পার করার পর দ্রুত ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৯৯ রানে মুমিনুল আউট হওয়ার পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাধেন তার ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ১৬ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হন তারা দু’জন। মূলতঃ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মিডল স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলতে সুইপ করতে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বল ব্যাটে লাগেনি। সরাসরি বোল্ড হয়ে যান তিনি।
অশ্বিনের বলে কয়েকটি ক্যাচ মিস হওয়ার পর তিনি সরাসরি বোল্ড করে যেন সতীর্থ ফিল্ডারদের বলে দিলেন, তোমরা ক্যাচ ধরতে পারো না, তাতে কি আমি এবার বোল্ডই করে দিলাম।
মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন দাস গড়ে তোলেন ২৫ রানের জুটি। কিন্তু ভারতীয়দের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে সংগ্রামী ইনিংস খেলেও টিকতে পারলেন না মুশফিক। ১০৫ বল খেলে ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ১৪০ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড আউট হন তিনি।
৫ উইকেটে ১৪০ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই ৭ উইকেটে ১৪০ হয়ে যায় বাংলাদেশের। মুশফিকের পরের বলেই মোহাম্মদ শামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে যখন কঠিন বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং, তখনই হাল ধরার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ব্যাটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে ওঠে। তাতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটাতে পারলেও শঙ্কা শেষ হয়ে যায়নি। কারণ, দলীয় ৯৯ রানের মাথায় ৪র্থ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফিরলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
৮০ বল মোকাবেলায় ৩৭ রান করে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল। ৬টি বাউন্ডারির মার ছিল তার ব্যাটে। ৯৯ রানের মাথায় অধিনায়ককে হারানোর পর মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশের দুই ওপেনার। যে কারণে স্কোরবোর্ডে প্রথম রান যোগ করতেই তিন ওভার লেগে গিয়েছিল ইমরুল কায়েস আর সাদমান ইসলামের। তবে ভারতীয় পেসারদের বিষমাখানো বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেননি এই দুই ওপেনার। ১২ রানে বসিয়েই ইমরুল এবং সাদমানকে তুলে নেন দুই পেসার ইশান্ত শর্মা এবং উমেষ যাদব।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: