সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বিকেলে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৯

আপডেট:
৯ মার্চ ২০২০ ২০:০০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিতে মুমিনুল হকের অধিনায়কত্বে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সফরে আধিপত্য বিস্তার করা সেই থেকে শুরু। টেস্টের পর মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে সফরকারীরা হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। মুমিনুল-মাশরাফির সাফল্যের পর এবার মাহমুদউল্লাহর পালা। এই অলরাউন্ডারের অধিনায়কত্বে কুড়ি ওভারের সংস্করণে বাংলাদেশ দল কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

পাকিস্তানে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহর দলকে। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে টানা চার ম্যাচ হারের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এই সিরিজটা জয়ে ফেরার বড় সুযোগ হয়েই এসেছে বাংলাদেশের জন্য। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সুযোগটা কাজে লাগাতে আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকরা। তবে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তারা, খেলাটা যে টি-টোয়েন্টি। এই সংস্করণে শক্তির ব্যবধান তেমন থাকে না। একটা-দুটা ভালো ওভার কিংবা ভালো ইনিংস গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।

তা ছাড়া এই সংস্করণের সঙ্গে এখনও ঠিক সেভাবে সখ্য গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ৯৪ ম্যাচ খেলে ৩০টি জয় পেয়েছে টাইগাররা, হেরেছে ৬২টিতে। এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের পরিসংখ্যানও অবশ্য সুখকর নয়। ৭৪ ম্যাচ খেলে তাদের জয় মাত্র ১৮টি, হার ৫৪টি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ নয়। ১১ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪টিতে, জয়গুলোর তিনটিই আবার এসেছে বাংলাদেশের মাটিতে। অতীতের এই সাফল্য থেকে আত্মবিশ^াস নিয়েই এবারের সফরে হারের বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছে রোডেশিয়ানরা।

নিয়মিত অধিনায়ক চামু চিবাবা ইনজুরিতে থাকায় শেষ দুই ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শন উইলিয়ামস। আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তার নেতৃত্বেই মাঠে নামবে অতিথিরা। রোববার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘অন্য দুই সংস্করণ এখন অতীত। আমাদের পূর্ণ মনোযোগ এখন টি-টোয়েন্টিতে। দলের সঙ্গে আলোচনায় আমি ওয়ানডের প্রসঙ্গই তুলিনি। নেট সেশনে ছেলেদের যথেষ্ট শক্তিশালী মনে হয়েছে। সবার ভাবনা পরিষ্কার।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি আত্মবিশ^াসী যে টি-টোয়েন্টিতে যদি স্বাধীনতা নিয়ে খেলা যায়, তাহলে আমরা চিত্রটা বদলে দিতে পারব।’

টানা হারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া প্রতিপক্ষ যখন ফেরার পথ খুঁজছে, তখন তাদের নিয়ে সতর্ক থাকতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও জানিয়ে দিলেন কথাটা, ‘প্রতিটি খেলাই চ্যালেঞ্জিং, যার সঙ্গেই খেলেন না কেন। আমরা টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তারপরও আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে বেশ শক্তিশালী দল। তাদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ ভালো। আমাদেরও তাই খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের ইতিবাচক মাইন্ডসেট নিয়ে আসতে হবে, কারণ আমরা যদি (প্রতিপক্ষকে) সহজভাবে নেই, তা আমাদের জন্য খারাপ হবে।’

গতবছর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুবার জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়ে দুবারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। দলের বোলাররা যেভাবে পারফর্ম করছেন, ওয়ানডে সিরিজে যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস, তাতে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই আশা স্বাগতিক শিবিরে। আজকের ম্যাচের জন্য মিরপুরের উইকেট ব্যাটিংবান্ধবই হওয়ার কথা। তামিম-লিটন-নাঈম-মুশফিকদের জন্য সেটা সুখবরই। তবে বোলারদের নিতে হবে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। পেস বিভাগে সেই চ্যালেঞ্জটা মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শফিউল ইসলামকেই সামলাতে হবে। তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উপস্থিতি অবশ্য তাদের কাজ কিছুটা সহজ করবে।

স্পিনে মেহেদী হাসানের সঙ্গী কে হবেন, লেগি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব নাকি অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, একাদশ যেমনই হোকÑ টেস্ট আর ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও দাপুটে পারফরম্যান্স দেখানোর জন্যই ঝাঁপাবে মাহমুদউল্লাহর দল।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top