অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইলসা’


প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২৩ ২১:০১

আপডেট:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:২০

 

শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় ৫ মাত্রার ঝড় হিসেবে আঘাত হেনেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায়। ঝড়টি ইতোমধ্যে বাতাসের গতির রেকর্ড গড়লেও জনবহুল এলাকায় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ইলসা স্থানীয় সময় মধ্যরাতের ঠিক আগে বিশ্বের বৃহত্তম লৌহ আকরিক রফতানি কেন্দ্র পোর্ট হেডল্যান্ডের কাছে আঘাত হানে। এর পর ঝড়টি দুর্বল হয়ে ৩ মাত্রায় নামলেও কিছু অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হ্য়, ১৪ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি।
পোর্ট হেডল্যান্ডের মেয়র পিটার কার্টার শহরটিতে বাতাসের শব্দকে ‘খুবই ভয়ঙ্কর এবং অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
অঞ্চলটির দমকল প্রধান পিটার সাটন বলেন, ‘ঝড়ে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টারে এখানকার লোকজনকে উদ্ধারের পর রাস্তা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দেখার জন্য উপকূল বরাবর চলে যাব।’

ঘণ্টায় ২১৮ কি.মি বেগে বাতাস রেকর্ড হয়েছে বেডআউট দ্বীপে। এর আগে ২০০৭ সালে এমন তাণ্ডব দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সেবার ঘণ্টায় ১৯৪ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় জর্জ।

ঘূর্ণিঝড় ইলসা শক্তিশালী বাতাসের সঙ্গে আঘাত হানলেও, শনিবারের মধ্যে ঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া ব্যুরো (বিওএম)।
চ্যানেল নাইনের প্রতিবেদক এজরা হল্ট শহর থেকে বিবিসিকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই পোর্ট হেডল্যান্ডের বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।’

প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ খুব বেশি বিভ্রান্ত, অন্যরা কিছুটা স্থির। কারণ এমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় খুবই বিরল।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানা সর্বশেষ ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি ছিল লরেন্স। ২০০৯ সালে এটি আঘাত হেনেছিল। এর দুই বছর আগে ২০০৭ আরেকটি ৫ মাত্রার ঝড় সাইক্লোন জর্জের তাণ্ডবে তিনজন নিহত হয়েছিলেন পোর্ট হেডল্যান্ডে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top