সিডনী শুক্রবার, ২৮শে জুন ২০২৪, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩১


আফগানিস্তানের জয়ে ঝুঁকিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া


প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২৪ ১৭:৫৩

আপডেট:
২৩ জুন ২০২৪ ১৭:৫৫

 

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ২৯২ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ঠিক ওইরকম না হলেও সেন্ট ভিনসেন্টে কাছাকাছি একটা মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল, লক্ষ্যটা ছিল ১৪৯ রানের। কিন্তু এবার আর মন ভাঙার গল্প লেখেনি রশিদ খানের দল। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মাইটি অজিদের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নিল তারা, তাও আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

রোববার (২৩ জুন) আফগানদের বিপেক্ষে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন বিপদে, তখনও আশা দেখাচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। দেড়শর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেটে অর্ধশতকও তুলে নেন তিনি। ম্যাচটাকে তখন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের ‘দ্রুততম ২০০’র সঙ্গে তুলনা করা ভুল কিছু নয়। ভ্রম ভাঙার কথা কিছুক্ষণ পরেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২০১ রান করে দলকে জয় এনে দিলেও আরনস ভেলে ৫৯ রানেই আউট হন ম্যাক্সি। অস্ট্রেলিয়ার দলীয় রান ১০৬।
পরের ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া তুলতে পেরেছে মাত্র ২১ রান। ফলে ২১ রানে হার মেনে নিতে হয় মিচেল মার্শ বাহিনীকে। এই একটি মাত্র জয় সব সমীকরণ বদলে দিয়েছে সুপার এইটের ১ নম্বর গ্রুপের। ৪ পয়েন্ট থাকলেও এখনও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি ভারতের। অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের নামের পাশে ২টি করে পয়েন্ট। ২ ম্যাচ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ সবার নিচে।

অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিতে যাবে ভারত। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের তো বটেই, বাংলাদেশেরও শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এমন অবস্থায় আফগানরা বাংলাদেশের মুখোমুখি দেখায় জিতলে তারাই হবে ভারতের সঙ্গী, আবার বাংলাদেশ জিততে পারলে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট সমান হবে। তখন হিসাব হবে নেট রানরেটের। নেট রানরেটে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী এগিয়ে থাকলে মিলবে সেমি নামক সোনার হরিণ।
অস্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে জিতে গেলে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। তখন সেমির টিকিটের জন্য লড়াইটা হবে বাকি তিন দলের মধ্যে। ওই অবস্থায় আফগানিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে জিতলে তিন দলের পয়েন্ট হবে ৪ করে। কোন ২টি দল সেমিতে যাবে- সেটার সমাধাণ তখন নেট রানরেট। সেই হিসাবে বাদ পড়তে পারে ভারতও। যদিও এই মুহূর্তে তাদের নেট রানরেট (+২.৪২৫) বেশ ভালো। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা একের অর্ধেকেরও কম, আফগানিস্তানের ঋণাত্মক।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top