সিডনী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

আইএমএফ এর কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৯

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৭

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য আনুষ্ঠানিক আবেদনও করা হয়েছে। মূলত অর্থনীতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এবং ব্যয় ও বাজেটের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে এ ঋণ আবেদন করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ঋণ আবেদনের আরেকটি কারণ হিসেবে রফতানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ২০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো যে রিজার্ভ রয়েছে তা আগামী পাঁচ মাসের রফতানির জন্য যথেষ্ট।

চলতি মাসেই নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আইএমএফ প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি দল। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে দলটি। সে সময় জানা গিয়েছিল, বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চাইবে বাংলাদেশ। তবে প্রতিনিধি দলের এ সফরে বাংলাদেশ ঋণ প্রস্তাব দেয়নি বা আইএমএফও কোনো প্রস্তাব দেয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু করা হবে না। যদি ঋণ নেয়াও হয় তবে তা দেশের স্বার্থেই নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে আইএমএফ বিশ্বে করোনার সংকট মোকাবেলায় ১৯০টি সদস্য দেশের জন্য ৬৫০ বিলিয়ন ডলার সমমানের এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) ঘোষণা করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু সরকার ওই সময় এসডিআর নেয়নি। কারণ সে সময় বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ রেকর্ড উচ্চতায় ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট শুরু হলে বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম। অস্বাভাবিক হারে বাড়ে নিত্যপণ্যের দামও। এর জের ধরে বেড়ে যায় আমদানি ব্যয়। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে রিজার্ভে। সে কারণেই আলোচনায় আসে বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়টি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top