সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব রোবটিক্স’ প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী


প্রকাশিত:
৮ মে ২০১৮ ১২:২৪

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ১৭:২৭

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব রোবটিক্স’ প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব রোবটিক্স’ প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী নাবিলা আফ্রিদা স্রোতস্বিনী, অনসূয়া রায় ও নাশরাহ আলম অংশ নেন।



পৃথিবীর ৬৫ টি দেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তিনজন বাংলাদেশি ছাড়াও সিডনির ব্লাকটাউন গার্লস হাই স্কুলের আরও ২৪ জন ছাত্রী এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।দলটি গত ১৭ এপ্রিল সিডনি থেকে রওনা হয়ে প্রতিযোগিতা শেষে ৩০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া ফিরে গত ৪ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহন কারীরা তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সহ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বর্ণনা করেন। অংশ গ্রহনকারীরা জানান তাদের তৈরিকৃত রোবট হাত দিয়ে কিঊবস তুলে নিয়ে খুব দ্রুত সময়ে নির্ধারিত স্থানে রাখতে পারত। আরও জানান, এবারেই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী কোন পাবলিক রোবটিক্স দলের সকল সদস্যই মেয়ে এবং এই বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা সুযোগ পেলে বাংলাদেশী যে কোন রোবটিক্স দলের কাজ করতে আগ্রহী।



robotics



সাংবাদিকদের সাথে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা



সাংবাদিক সম্মেলনে অভিভাবক ও সাংবাদিকরা এই তিন বাংলাদেশী প্রতিযোগীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে আরও এগিয়ে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সংবাদ সম্মেলনে এসবিএসের পক্ষ থেকে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন বাংলা বিভাগের নির্বাহী প্রযোজক আবু রেজা আরেফিন।অনুষ্ঠানে স্রোতস্বিনী, অনসূয়া ও নাশরাহ পিতামাতা যথাক্রমে নুসরাত জাহান স্মৃতি, আবু সাইদ, অশোক রায়, নিপা রায়, মনজুর আলম, ফারহানা এবং আফরিন খান সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্হিত ছিলেন।





সবশেষে নাবিলা স্রোতস্বিনী উপস্হিত সকলকে গান গেয়ে শোনান। প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়া বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি প্রজন্মের মধ্যে নাবিলা স্রোতস্বিনী কমিউনিটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি জনপ্রিয় নাম। দিগন্ত’ কালচারাল সংগঠন আয়োজিত ট্যালেন্ট শো প্রতিযোগিতা ২০১৭-তে সঙ্গীত বিভাগে সে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ছিল।ঐ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কণা, নৃত্যশিল্পী শামিম আরা নীপা, চিত্র নায়ক ফেরদৌস ও কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী কাকলী ব্যানার্জি।



 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top