আমি চুপ থাকার মেয়ে নই, অন্যায় হলে কথা বলবই: পরীমণি
প্রকাশিত:
২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯:১৬
আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৪

পরীমণি। চিত্রনায়িকা। গত শনিবার তার টাঙ্গাইলে কসমেটিকস ব্যান্ড ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে স্থগিত করা হয় ওই অনুষ্ঠান। ঘটনাটির সমালোচনা করে রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি। পরদিন বোটক্লাব কাণ্ডের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পরীমণির সঙ্গে।
কেমন আছেন?
খুব একটা ভালো না, ঠান্ডা-জ্বর ও টনসিলের ব্যথায় ভুগছি। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমার দুই বাচ্চা, ওরা দিব্যি সুস্থ আছে। ওরা সুস্থ আছে দেখে নিজের অসুখকে অসুখ মনে হচ্ছে না।
টাঙ্গাইলে একটি শোরুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল। বাধার মুখে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। আসলে কী ঘটেছিল?
আপনারা জানেন, আমি অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস শপ ‘হারল্যান স্টোর’-এর ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। প্রতিষ্ঠানটি আমার পরিবারের মতো হয়ে গেছে। নানা সময়ে নানা আয়োজনে এই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির শোরুম উদ্বোধন করতে নানা সময়ে আর্টিস্টরা যান। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা আমার। কয়েক দিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। আমার ফেসবুক পেজেও প্রচারণা করেছি। কিন্তু হুট করেই যাওয়ার আগের দিন জানানো হয় স্থানীয়দের প্রবল প্রতিরোধের মুখে স্থগিত করা হয়েছে অনুষ্ঠান। খবরটি শুনে বেশ খারাপ লাগে, অসহায় লাগে। এমন কেন হবে? আমার দেশে আমি কেন নিরাপদে নিজের কাজটা করতে পারব না।
সেই রাগ আর অভিমান থেকেই তো ফেসবুকে লিখলেন...
হ্যাঁ, আমার মনে হলো, বিষয়টি সামনে আনা দরকার। না হলে ধীরে ধীরে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হয়তো আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে চুপ থাকতেন। কিন্তু আমি তো চুপ থাকতে পারি না। আমি চুপ থাকার মেয়ে না, যা সত্যি, তা তো বলতেই হবে। এটা তো আমার দেশ, আমার ইন্ডাষ্ট্রি। নিজের দেশে কেনো নিরাপদে কাজ করতে পারব না।
যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন, সেই প্রতিষ্ঠান কি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে?
সেটা আমি জানি না। প্রতিষ্ঠান যেটা ভালো মনে করে, সেটা করবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রতিবাদ করা তো আমারও দায়িত্ব। সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই আমি কথা বলেছি, ফেসবুকে লিখেছি।
ফেসবুকে লেখার পরদিনই তো পুরোনো মামলায় আপনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এলো...
প্রতিবাদ করার জন্য যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় তা হলে কষ্টের। মানুষ কথা বলা ছাড়া কীভাবে থাকবে। যে চুপ থাকতে চায়, সে চুপ থাকুক, কিন্তু যে বলতে চায় তাকে তো কথা বলতে দিতে হবে। তবে এটি যেহেতু আদালতের বিষয়; আমিও আইনি প্রক্রিয়াতেই হাঁটব। বিষয়টি আমার আইনজীবী দেখছেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: