ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন কার্যকরী আম পাতা


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:০২

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪০

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন কার্যকরী আম পাতা

ডায়াবেটিস ডায়েটের জন্য সঠিক খাবার খাওয়া খুঁজে পাওয়া অত সহজ নয়। যদি আপনি ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন, তাহলে আপনি জানেন যে ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন। কিন্তু হতাশ হবেন না, প্রাচীন চীনা একটি রীতি (আম পাতার নির্যাস পান) আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর হতে পারে।



আম পাতা, বিশেষ করে এটির নির্যাস, শতশত বছর ধরে অ্যাজমা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আম পাতা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরপুর, যা ডায়াবেটিস আরো বেশি নিয়ন্ত্রণযোগ্য করতে পারে।



আম পাতার নির্যাস ইনসুলিন উৎপাদন ও গ্লুকোজ বন্টন বাড়াতে পারে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের রক্ত শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে স্থির রাখে। যেহেতু আম পাতায় প্রচুর পেকটিন, ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকে, তাই এটি খারাপ কোলেস্টেরলও হ্রাস করতে পারে। এছাড়া আম পাতা ডায়াবেটিসের বিরক্তিকর উপসর্গও হ্রাস করতে পারে, যেমন- রাতে ঘনঘন মূত্রত্যাগ, অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন হ্রাস ও ঝাপসা দৃষ্টি। কনফিউজিং সাপ্লিমেন্টকে গুডবাই বলতে পারেন।



আপনি ডায়াবেটিস রোগী নন? সমস্যা নেই- আপনিও এই বিস্ময়কর পাতা থেকে উপকার পেতে পারেন। এই পাতার উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টকে ধন্যবাদ দিন, এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জি থেকেও রক্ষা করে।



বিজ্ঞানেও আম পাতার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, যেসব প্রাণীদের আম পাতার নির্যাস দেওয়া হয়েছিল, তাদের গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ট্র্যাক্টের মাধ্যমে গ্লুকোজ শোষণ কম হয়েছিল, যা তাদের রক্ত শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।



আম পাতা থেকে উপকার পাওয়ার উপায় হচ্ছে- ১০ থেকে ১৫টি তাজা আম পাতা পানিতে সিদ্ধ করুন ও সেভাবেই সারারাত রেখে দিন। সকালে ব্রেকফাস্টের পূর্বে আম পাতার এই পানীয় পান করুন। এভাবে দুই থেকে তিনমাস চালিয়ে যান এবং শিগগির আপনি আরো সুখী জীবন উপভোগ করবেন।



তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top