সিডনী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


টাকওয়ালাদের জন্য সুখবর


প্রকাশিত:
১০ মে ২০১৮ ০০:৪০

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ১৯:১৪

টাকওয়ালাদের জন্য সুখবর

আমাদের অনেকেই টাক হওয়া সমস্যায় আক্রান্ত। বয়স বাড়লে তো বটেই অনেকে তরুণ বয়সেই টাক সমস্যায় পরেন। তবে দুশ্চিন্তার সময় শেষ। আবিষ্কার হয়েছে মাথায় চুল ওঠানোর ঔষুধ।



ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক টাক মাথায় চুল ওঠানোর এই ঔষুধটি আবিষ্কার করেন। অস্টিওপোরোসিস নামক হাঁড়ের এক ধরনের ক্ষয়জনিত রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গিয়ে পরীক্ষাগারে তৈরি হয়ে যায় এই ঔষুধটি।



নতুন এই ঔষুধটির নাম এখনও চূড়ান্ত করা না হলেও পরীক্ষাগারে এটিকে ‘ওয়ে-৩১৬৬০৬’ নামে ডাকা হচ্ছে। ঔষুধটিএ এমন এক উপাদান আছে যা মাথায় ত্বকের নিচে থাকা লোমকূপকে উপরে উঠে আসতে সাহায্য করবে।



গবেষক দলের প্রধান ড. নাথান হকশ বলেন, “যারা টাক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য খুবই উপকারি হতে পারে এই ঔষুধটি। এটি তাদের বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেবে”।



টাক সমস্যার সমাধানে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের ঔষুধ পাওয়া যায়। মিনক্সিডিল এবং ফিনাস্টেরাইড। এর মধ্যে ফিনাস্টেরাইডটি শুধু নারীরা ব্যবহার করতে পারেন। গবেষকরা বলছেন, এসব ঔষুদের কার্যকারিতা শতভাগ নয়। সবাই যে এসব ঔষুধের ব্যবহারে ভালো ফলাফল পেয়েছেন তা নয়। উপরন্তু এসব ঔষধের আছে প্বার্শপ্রতিক্রিয়া। তাই টাক সমস্যা সমাধানে অনেকেই শেষ পর্যন্ত সার্জারি করে থাকেন।



এসব সমস্যার কার্যকর সমাধান হতে পারে এই ওয়ে-৩১৬৬০৬। এমনটাই দাবি গবেষকদের।



৪০ জন পুরুষের মাথার ত্বকের নমুন নিয়ে কাজ করেন গবেষকেরা। সেখানে তারা দেখতে পারেন যে, ওয়ে-৩১৬৬০৬ এর প্রয়োগের ফলে ত্বকে চুল ওঠার প্রবণতা অন্য সবকিছুর থেকে বেশি।



তবে ঔষুধটি এখনই সকলের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে না। ঔষুধটি সার্বিকভাবে সকলের ব্যবহারের উপযোগী কী না তা বুঝতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার আছে বলে মনে করেন ড. নাথান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top