সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


দেশে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা


প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৪

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৪

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশে ধারাবাহিকভাবে এইচআইভিতে আক্রান্ত নতুন রোগী এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। আগে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন রোগী বেশি পাওয়া যেত। কিন্তু এ বছর সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে।

জাতিসংঘের এইচআইভি/এইডসবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউএনএইডসের গত বছরের প্রাক্কলন বলছে, বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্তদের অনুমিত সংখ্যা ১৩ হাজার। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ৬ হাজার ৪৫৫ জন শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তের বাইরে থাকা মানুষ চিকিৎসাও নিচ্ছে না, অন্যদিকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ১০, ২০, ১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ জনে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যায় ২০০০ সালে। ২০১৮ সালে একই রোগে মৃতের সংখ্যা ১৪৮। এ বছর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। তবে মৃত্যু কিছু কমেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনও অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এইডস সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের সন্ধানে যাওয়া ব্যক্তিরে মাধ্যমে বাংলাদেশে এইডস ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ও সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন বাড়ানোর মাধ্যমে দেশে এইডস আক্রান্তের ঝুঁকি হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির কর্মকর্তারা বলছেন, এইচআইভি–আক্রান্তদের ৫০ শতাংশ জানেনই না যে তাঁদের এই রোগ হয়েছে। যাঁরা জানেন, তাঁদের এক–তৃতীয়াংশের বেশি চিকিৎসা নেন না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত ওষুধ (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল) সেবন করতে হয়, রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। তবে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক পরিস্থিতি কী, সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই। এ বিষয়ে তথ্য সংরক্ষণের কাজ সবে শুরু করেছে সরকার।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top