কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র, ২৫ রাজ্যে করফিউ জারি


প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২০ ২২:৩৬

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৩৩

(ছবি: ডেইলি মেইল থেকে সংগৃহীত)

 

প্রভাত ফেরী: পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়েস, কেনটাকি, মিনেসোটা, নিউইয়র্ক, ওহিয়ো, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া, সাউথ ক্যারোলিনা, টেনেসি, উতাহ, ওয়াশিংটন এবং উসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে ১ হাজার ৩শ ৩৮ জন মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শনিবার রাতের বিক্ষোভের পর এ সংখ্যা আরো অনেকে বেড়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, দোকান লুটপাটসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়া সহ ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা। মিনেসোটা, জর্জিয়া, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ওকল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ৩০ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৫টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।   

গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।

এরপরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড।

তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে দেখা গেছে যে, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’

এদিকে জর্জের মৃত্যুর পরপরই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভ প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলস থেকে মিয়ামি, শিকাগো শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top