সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


দুর্দান্ত জয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জেসিন্ডা আরডর্ন 


প্রকাশিত:
১৮ অক্টোবর ২০২০ ২৩:১১

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৮

 

মু: মাহবুবুর রহমান, নিউজিল্যান্ড থেকে

নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডর্ন।  ১৭ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন তিনি। 

ইতোমধ্যে বিদেশে বসবাসরত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের ভোট ছাড়া প্রায় সব ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। যাতে ৪৯ দশমিক এক শতাংশ ভোট পেয়েছে জেসিন্ডা আরডর্নের নেতৃত্বাধীন লেবারপার্টি।
অর্থাৎ দেশটির পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে তার দল জয়ী হওয়ার আভাস দিচ্ছে। নিউজিল্যান্ডে সরকার গঠনের জন্য দরকার কমপক্ষে ৬১ আসন। কাজেই একথা নির্দ্ধিতায় বলা যায় একক দল হিসেবে সরকার গড়তে চলছে লেবার পার্টি। 

১৯৯৬ সালে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (‘মিক্স মেম্বার প্রোপোরশনাল’ -এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। অনেকে বলতেও শুরু করেছিলেন বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় নিউজিল্যান্ডে কোনো দলের পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয়। তবে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে জেসিন্ডা আরডর্নের দল লেবার পার্টি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন জেসিন্ডা আরডর্ন। 

এবারের নির্বাচনে জেসিন্ডার বিপরীতে লড়েছেন রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্স। আর কলিন্সের নেতৃত্বাধীন ন্য়াশনাল পার্টি পেয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ ভোট। তবে জুডিথ কলিন্স এরই মধ্যে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন। তিনি ‘ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব’ বিজয়ের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডর্নকে অভিনন্দনও  জানিয়েছেন। 

বিশ্লেষকরা বলছেন জেসিন্ডা ম্য়াজিকে জয় পেলো লেবার পার্টি।  তাদের দাবি মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দারুণ সফলতার জন্যই জনগণ ফের জেসিন্ডাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিছে নিয়েছেন। এছাড়া ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর জেসিন্ডা যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। তাই দেশ ছাড়াও বহির্বিশ্ব তাকিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনের দিকে। আর সবার প্রত্যাশা পূরণ করে বিজয়ী হয়েছেন জেসিন্ডা আরডর্ন। 

নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয় ভোট। তারপর ১৭ ই অক্টোবর, শনিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিতহয়। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। তবে দেশটিতে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল ৩রা অক্টোবর থেকে। 

এদিকে, নির্বাচনে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত জেসিন্ডা আরডর্ন তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে নিউজিল্যান্ড। জেসিন্ডা বলেন, আপনাদের এই সমর্থনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে  আমরা এমন একটি দলে পরিণত হব যা দেশের প্রতিটি জনগণের জন্য কাজ করবে। 

 

মু: মাহবুবুর রহমান
নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top