অশান্ত হতে পারে বাংলা
প্রকাশিত:
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৪
আপডেট:
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৪

প্রভাত ফেরী: রাজ্যজুড়ে রথযাত্রা করতে চেয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, রাজ্য প্রাশাসনের তরফে বিজেপি নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। অর্থাৎ, যে এলাকাগুলির উপর দিয়ে রথ যাবে, সেই সব জেলার প্রশাসনের ছাড়পত্র মিললে তবেই যাত্রা করা যাবে। এরই মধ্যে এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপি-র রথযাত্রা আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। আইনজীবী রামাপ্রসাদ সরকার ওই মামলা করেছেন বলে খবর।
রথযাত্রা বন্ধ করার আবেদনে জানানো হয়েছে, গোটা রাজ্যজুড়ে 'পরিবর্তন যাত্রা'র নামে রথ নিয়ে ঘোরার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি । এতে যে কোনও মুহূর্তে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবণতি হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা। নিয়ন্ত্রণে হলেও বাংলা থেকে এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি করোনা। তাই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে জনসমাগম হলে সংক্রমণ বাড়ার কথাও বলা হয়েছে আবেদনে। তাই এই রথযাত্রা বন্ধ করা উচিৎ বলেই দাবি করেছেন ওই আইনজীবী। মামলার পার্টি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও বিজেপি-কে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে।
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য আগেই যাত্রার প্রশাসনিক অনুমতি না মিললে আদালতে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'এটি প্রশাসনিক বিষয়। প্রশাসন দেখবে। তবে আমরা কিছুতেই রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে দেব না। ওরা যে স্বপ্ন দেখছে, তা সফল হবে না।'
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৬ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাজ্যের পাঁচ প্রান্ত থেকে পাঁচটি রথ নিয়ে পথে নামবে বিজেপি। ৬ ফেব্রুয়ারি রথযাত্রার উদ্বোধন উপলক্ষে নবদ্বীপে আসার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। এবং ১১ তারিখ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কোচবিহারে আসার কথা আর একটি যাত্রার উদ্বোধন করতে। পরে কলকাতায় পাঁচটি রথ মিলিত হয়ে বড়সড় জনসভা করা হবে, বিজেপি নেতৃত্বের এমনই চিন্তাভাবনা রয়েছে।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'আমরা অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি না মিললে আদালতেও যেতে পারি।' যদিও এবার জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতেই আদালতে নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারবে গেরুয়া শিবির। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্য বিজেপি-র বেশ কিছু কর্মসূচি ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি বেধেছে। গেরুয়া শিবিরের 'উত্তরকন্যা অভিযান'-এ প্রাণও গিয়েছিল এক বিজেপি কর্মীর। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাঁচ প্রান্ত থেকে পাঁচটি রথযাত্রার অনুমতি ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিজেপি-র সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: