ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক
প্রকাশিত:
৬ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৪
আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩০

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভকালে শুক্রবার তাদের আটক করা হয়।
দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব এবং জিএসটির হার বৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কংগ্রেস। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) এতে যোগ দেন।
দিল্লি পুলিশ এ সময় আরো কয়েকজনের সঙ্গে ওই দুজনকেও আটক করে নিয়ে যায়।
এসব দাবি নিয়ে এদিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
আটক হওয়ার আগে রাহুল বলেন, ‘প্রতিদিন দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। গণতন্ত্র স্মৃতির পাতায় চলে গিয়েছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের বিক্ষোভ দমন করাই সরকারের একমাত্র কাজ। এই সরকার চায় না যে সমাজে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব কিংবা বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিক্ষোভ হোক। ’
রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কংগ্রেসের ভেতরে আদৌ কী কোনো গণতন্ত্র রয়েছে?’। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, রাহুলের এমন অভিযোগের জবাবে রবিশঙ্কর বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা নির্জলা মিথ্যা বলছেন। আইনসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ’
রবিশঙ্কর আরো বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর দাদি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। বড় বড় সাংবাদিকদের জেলে ভরা হয়েছিল তখন। আর আপনারাই আমাদের গণতন্ত্রের উপদেশ দেন!’
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগে থেকেই জানানো হয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডাব্লিউসি) সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা ‘প্রধানমন্ত্রীর ভবন ঘেরাও’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া লোকসভা ও রাজ্যসভার এমপিরা ‘চল রাষ্ট্রপতি ভবন’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির জেরে প্রশাসন রাজধানীতে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে। কংগ্রেসকে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এরপর দলীয় কার্যালয়ের বাইরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধীসহ গান্ধী পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। মূলত, এর পরই কংগ্রেস নেতৃত্ব দ্রব্যমূল বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করে। কংগ্রেস বারবার অভিযোগ করছে, বিরোধীদের হয়রানি করতে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: